শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর এই ঈদকে সামনে রেখে কেউ বাসায় বসে পরিবারের সঙ্গে নিজেদের গাওয়া গানের ভিডিও শেয়ার করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। কেউবা পরিবারের ছোট সদস্যকে দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের ভিডিওতে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। অনেকে স্ট্যাটাসে ঈদ মোবারক লিখে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

এমনি করেই ঈদের আগের রাত অর্থাৎ চাঁদরাতে শুভেচ্ছা বিনিময়ে মেতে উঠেছেন দেশবাসী। করোনার এই সময়ে ঈদ উদযাপনে ফেসবুকই যেন অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছে। তবে সবাই এসব শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়টিও তুলে ধরছেন।

জ্যেষ্ঠ গণমাধ্যমকর্মী এস এম আব্বাস দুই মেয়ের সঙ্গে রমজানেরই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ- গান গেয়ে ফেসবুক বন্ধুদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দুই মিনিটের বেশি সময়ের এ ভিডিওতে বাবা ও মেয়েদের দেখা যায় প্রাণবন্ত।

আরেক জ্যেষ্ঠ গণমাধ্যমকর্মী নূর মোহাম্মদ তার ছোট মেয়ের ঈদ শুভেচ্ছার ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। শুধু এই দুই গণমাধ্যমকর্মীই নন, দেশের কোটি মানুষ এভাবেই ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিচ্ছেন সবার মাঝে। আর ফেসবুকে এসব ঈদের শুভেচ্ছাবার্তা যথেষ্ট সাড়াও পাচ্ছে। তালিকায় থাকা বন্ধুরা লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করছেন। 

অনেকেই বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডার ছবি আপলোড করেও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। কেউ কেউ পরিবারের ছবি আপলোড করে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। অনেকে আবার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বাড়ির ছবিসহ গ্রামীণ আবহের চিত্র তুলে ধরছেন।

তৃতীয়বারের মতো ঈদ উৎসব অনেকটা সীমিতভাবেই সবাই উদযাপন করছেন। এর আগে অবশ্য ঈদের আগে হই-হুল্লোর, আড্ডা আর ঘোরা-ফেরা করে সবাই ঈদ উদযাপন করেছেন। করোনা মহামারি সেই প্রাণবন্ত আড্ডা থামিয়ে দিয়েছে। অনেকটা বাধ্য হয়েই সবাই বেছে নিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে।

আলাপকালে একাধিকজন এ প্রতিবেদককে জানান, অনেকটা ঘরবন্দি হয়েই এবারের ঈদ উদযাপন করতে হচ্ছে। তাই ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করে যতটুকু ভালো থাকা যায় সেই চেষ্টা করছেন সবাই।

অবশ্য সরাসরি ভিডিও কলে যুক্ত হয়েও আত্মতৃপ্তি পাচ্ছেন অনেকে। সন্ধ্যার পর চাচাতো বোনের সঙ্গে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে আড্ডায় মেতে উঠেন শিউলি আক্তার। তিনি বলেন, আমরা প্রতিবছরই পরিবারের সব সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করি। কিন্তু করোনার কারণে এবার আর তা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ভিডিও কলে সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছি। যদিও গ্রামের বাড়িতে একসঙ্গে থেকে ঈদ করার আনন্দ অন্যরকম, কিন্তু বাস্তবতা তো মেনে নিতে হবে।

তবে ঈদের আগের রাতে পটকা, আতশবাজির যে ছোঁয়া একেবারেই নেই, তা নয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে পটকার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই বাড়িতে ঘরোয়া আমেজে আতশবাজি জ্বালিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠছেন। কেউ কেউ এসবের ছবিও শেয়ার করছেন ফেসবুকে নিজের ওয়ালে।

একে/আরএইচ