সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং ৪৫টি অঙ্গরাজ্যের প্রসিকিউটর একত্রিত হয়ে মামলা করেছেন। তারা বলছে, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে অনৈতিক আচরণ করেছে। 

মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশনের অভিযোগ, ফেসবুক ২০১২ সালে ইন্সটাগ্রাম ও ২০১৪ সালে হোয়াটসঅ্যাপের মালিকানা গ্রহণ করে। এরপর থেকে তারা বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে অনৈতিক প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। বিভিন্ন কোম্পানি থেকে ধার করা বা চুরি করা তথ্য নিজেদের কাজে ব্যবহার করে আসছে ফেসবুক।   তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই মামলার যথাযথ তদন্ত দাবি করেছে। জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাধারণ পরামর্শক জেনিফার নিউসটিড বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন আমাদের ব্যবসা এগুতে দিতে চায় না। এটা আমাদের জন্য সতর্কবার্তা।’ 

তিনি বলেন, ‘ফেসবুক কর্তৃপক্ষ হোয়াটসঅ্যাপ ও ইন্সটাগ্রাম তৈরিতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ এবং বহু চড়াই-উতরাই মোকাবেলা করে এতদূর এসেছে।’  উল্লেখ্য, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইন্সটাগ্রাম সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের মালিকানা ফেসবুকের। ২০১২ সালে ইন্সটাগ্রাম কিনে নেয়ার পর থেকে এর ব্যবহারকারী হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নিজেদের স্বকীয়তা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।  কিনে নেয়ার আগে ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ ইন্সটাগ্রামকে নিজেদের প্রতিযোগী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। অন্যদিকে, ২০১৪ সালে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পেলে তখনও একইভাবে উদ্বিগ্ন হয়েছিল ফেসবুক।

ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা সম্পর্কে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেতিশিয়া জেমস বলেন, ‘ফেসবুক প্রায় এক দশক ধরে সারা বিশ্বে তাদের একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রেখেছে। আর কোনও কোম্পানি একচেটিয়াভাবে দীর্ঘদিন ব্যক্তিগত তথ্য জেনে নিতে পারে না। এ কারণেই আমরা সোশ্যাল মিডিয়াটির বিরুদ্ধে মামলা করেছি।’

বিবিসির খবর অবলম্বনে এইচএকে