চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ রয়েছে স্কুল। কোথাও কোথাও আবার চালু রয়েছে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম। কিন্তু লকডাউনে আপনার শিশু কী অতিরিক্ত সময় স্মার্টফোনে ব্যয় করছে?

প্রায় ২ বছর লকডাউন থাকার ফলে ঘরবন্দী শিশু খেলাধুলা করতে পারছে না। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে ব্যাহত হচ্ছে তার সামাজিক বিকাশ। ফলে অনেকেই স্মার্টফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। আপনার শিশুর স্মার্টফোনে আসক্তি যেভাবে কমাবেন সেটি নিয়েই আজকের আয়োজন-

সময় ঠিক করুন

আইফোন কিংবা অ্যান্ড্রয়েড উভয় ফোন ব্যবহারকারী কতক্ষণ ব্যবহার করল, সেটি ট্র্যাক করার অপশন রয়েছে। ওই অপশনের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন আপনার শিশু স্মার্টফোনে আসক্ত কি না। শিশু যদি অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করে, তাহলে তার ফোন ব্যবহারে লাগাম টানুন। স্মার্টফোন দেওয়ার আগে তার সঙ্গে চুক্তি করে নিন। তাকে বলুন- নির্দিষ্ট সময়ের বেশি সে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবে না।

নিজেকে প্রাধান্য দিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় দিতে গিয়ে অনেক সময় আমরা নিজেদের কথা ভাবতে ভুলে যাই। আমাদের শিশু কী করছে সেটি থেকে যায় দৃষ্টির অগোচরে। এতে স্মার্টফোনে বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে সে। তাই একটু নিজের কথা ভাবুন। শিশু ঘরের মধ্যে একা একা স্মার্টফোনে সময় অপচয় করছে কি না সে ব্যাপারে মনিটরিং করুন।

সামাজিক কাজ করুন

পরিবারের সব সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে কোথাও ভ্রমণ, বই পড়া, খেলাধুলাসহ আরও বিভিন্ন সামাজিক কাজ শুরু করুন। দেখবেন, আপনার শিশুও আপনাকে সহায়তা করছে। মনে রাখবেন, শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। তারা বড়দের যা করতে দেখে তাই নিজের মধ্যে ধারণ করে। তাই শিশুর আচরণে পরিবর্তন আনার জন্য অভিভাবক হিসেবে সবার আগে আপনার আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে।

স্মার্টফোনটিকে ধূসর করে দিন

আমরা সবাই জানি, মানুষ রঙিন জিনিসের প্রতি দূর্বল হয়। তাই শিশুর স্মার্টফোনে আসক্তি কমানোর জন্য আপনি তার রেজল্যুশন স্ক্রিন কোয়ালিটি ধূসর করে দিতে পারেন। দেখবেন, কিছু সময় ব্যবহারের পরেই সে স্মার্টফোনটি রেখে দিয়েছে।

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ও নোটিফিকেশন বন্ধ করুন

অনেক সময় শিশুর স্মার্টফোনে আসক্তির কারণ হতে পারে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ও নোটিফিকেশন। ফোনে বিভিন্ন অ্যাপের নোটিফিকেশনের প্রতি বার বার তার মনোযোগ চলে যেতে পারে। তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করে দিন এবং নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন।

এইচএকে/টিএম/এএ