মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংক আব্দুল কাইয়ুম নামে এক গ্রাহকের সিম কার্ডের ব্যালেন্স থেকে কারণ ছাড়াই ৫৫ টাকা কেটে নেয়। একাধিকবার যোগাযোগ করার পরেও তার আবেদনে সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

এক পর্যায়ে কেটে নেওয়া টাকা ফেরত পেতে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান আব্দুল কাইয়ুম। অবশেষে চার-পাঁচ মাস পর ৪৫ টাকা ওই গ্রাহককে ফেরত দেয় বাংলালিংক। তবে এখনো ১০ টাকা ফেরত পাননি তিনি।

রোববার (২২ আগস্ট) টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কিত গণশুনানিতে অংশ নিয়ে এ ঘটনার প্রতিকার চান আব্দুল কাইয়ুম।

বিষয়টি জানার পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বাংলালিংককে তলব করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলেন।

মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ২০১৯ সালের ঘটনা। কয়েক দফায় আমার সিম থেকে ৫৫ টাকা কেটে নেয় বাংলালিংক।  আমি বুঝতে পারছিলাম না আমার মোবাইল ব্যালেন্স থেকে কেন টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো কারণ না পাওয়ায় তাদের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করি। তখন তারা আমাকে জানায় বিষয়টি দেখছে। এর কিছুদিন পর তারা জানায় যে, আমি নাকি একটা আইডিয়া সার্ভিস চালু করেছি। এ জন্যে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। অ্যাপসে দেখতে পেলাম কোনো সার্ভিস চালু করিনি। এ জন্য কোনো ধরনের চার্জও কাটা হয়নি। এরপর আমি তাদের কাছে কল লিস্ট চাইলাম। তারপর তারা বলে, আমরা তো এভাবে দিতে পারি না, আপনি স্থানীয়ভাবে যোগাযোগ করেন। স্থানীয়ভাবে যোগাযোগ করলাম, তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে বলল আপাতত টাকা ফেরত দেওয়া যাচ্ছে না। আবার আমি ১২১ যোগাযোগ করি। তখন সেখান থেকেও একই কথা বলা হয়।

তিনি বলেন, ১২১ এ যোগাযোগ করেও যখন আমার সমস্যার সমাধান হয়নি তখন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও তৎকালীন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠাই। এরপর বাংলালিংক আমাকে লিগ্যাল নোটিশের জবাব দেয়। সেখানে তারা বলে আমাকে ৫৫ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা আমাকে ৪৫ টাকা ফেরত দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০ টাকা ফেরত দেয়নি। আমি মনে করি, বাংলালিংক আমার টাকা চুরি করেছিল। নানা পদক্ষেপের পর তারা ৪৫ টাকা ফেরত দিয়েছে। তাহলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কী পরিমাণ টাকা তারা নিয়েছে তার হিসাব আপনারা জানেন?

এসব বিষয় জেনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ দেবো আমি। আপনাকে সাধুবাদ জানাই। সার্ভিস প্রোভাইডার অনেকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। আমি আপনার কেসটাকে আইডল কেস হিসেবে গণ্য করে বাংলালিংকে তলব করার জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বলছি।

একে/এসকেডি