২০২১ সালের প্রথমার্ধে প্রায় ১০ কোটি ইউনিট আইফোন উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে অ্যাপল। যা এবছরের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি।

করোনা মহামারির মধ্যেই এই প্রথম ফাইভজি মোবাইল ফোন নিয়ে এসেছে প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। জাপানের সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার বরাতে এমনটাই জানিয়েছে রয়টার্স।

নিক্কেই এশিয়া জানায়, ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক কোম্পানি অ্যাপল তার সরবরাহকারীদের ৯ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৯ কোটি ৬০ লাখ ইউনিট আইফোন সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে আইফোন ১২, আইফোন ১১ এবং আইফোন এসই। যদিও করোনা মহামারির মধ্যে এই বিপুল কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন কষ্টসাধ্য হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা জানায়, টেক জায়ান্ট অ্যাপল ২০২১ সালের জন্য নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে সম্ভবত ২৩ কোটি ইউনিট আইফোন তৈরির জন্য সরবরাহকারীদের পরামর্শ দিয়েছে। যা ২০১৯ সালের থেকে ২০ শতাংশ বেশি। যদিও ব্যবহারকারীদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে তা কম বেশি হতে পারে।

একজন আইফোন সরবরাহকারী নিক্কেই এশিয়াকে জানায়, প্রথম ত্রৈমাসিক ও পরবর্তী ত্রৈমাসিকের জন্য অ্যাপল তার পরিকল্পনা ঠিক করেছে।

তিনি বলেন, আইফোন ১২ প্রো এবং আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স আমাদের ধারণার চেয়ে বেশি ভাল করেছে। আর আইফোন ১২-এর চাহিদা আমাদের আশানুরূপ বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আইফোন ১২ মিনি কিছুটা পিছিয়ে আছে।

গবেষণা সংস্থা আইডিসি জানায়, ২০১৮ ও ২০১৯ এই দুই বছরে আইফোনের সরবরাহ কিছুটা কমে গিয়েছিল। এবছরের প্রথম নয় মাসে আইফোনের সরবরাহ ১১ কোটি ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। 

স্যামসাং ও হুয়াওয়ে ফাইভজি প্রযুক্তির স্মার্টফোন বাজারের আনার পর অ্যাপল ফাইভজি প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের পর আইফোন ১২ নিয়ে আসে। আর তা দিয়েই এই ত্রৈমাসিকে আবারো বাজারে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে অ্যাপল। 

২০২১ সালের সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২০১৫ সালের আইফোনের রেকর্ড ২৩ কোটি ১৫ লাখের উৎপাদনের কাছাকাছি।

নিক্কেই এশিয়া ও রয়টার্স/ওএফ