আবারও বিশ্ব ভ্রমণে বের হয়েছেন কাজী আসমা আজমেরী। তিনি ১৩১তম দেশ হিসেবে গত ১১ সেপ্টেম্বর মরিশাস ভ্রমণে গেছেন। সবুজ পাসপোর্ট কন্যা খ্যাত আজমেরীকে মরিশাসের কথা জিজ্ঞাস করলে, তিনি বলেন ছোটবেলা থেকেই মরিশাস অনেক পছন্দের একটি দেশ ছিল। এখানে হানিমুনে যাওয়ার কথা থাকলেও, একাই একাই ঘুরতে চলে এলাম।

এখানে শুধু ঘুরতেই আসেননি তিনি। নিজের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শোনাচ্ছেন স্থানীয় ইউনিভার্সাল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের। মরিশাস সম্পর্কে আজমেরীর ভাষ্য, দেশটির মানুষ অত্যন্ত আধুনিক। চিন্তা চেতনায় অনেক উন্নত। এই দেশে ফরাসি, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষার প্রচলন খুব বেশি। এখানে প্রায় ৪০ হাজারের ওপর বাংলাদেশি বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে কর্মরত রয়েছেন।

তিনি বলেন, মরিশাস ট্যুরিজম নির্ভর একটি দেশ। এটি একটি মাল্টিকালচার সমৃদ্ধ দেশ। এখানে ৬০ শতাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, ২০ শতাংশ মুসলিম ও ২০ শতাংশ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোক বাস করেন। এখানে বাংলাদেশি দূতাবাসও আছে। ফলে বাংলাদেশি ভ্রমণ প্রেমীরা সহজেই আসতে পারবেন।

মরিশাসের ভিসা যেভাবে পাওয়া যাবে

মরিশাসের ভিসা নিতে হলে দিল্লি থেকে আবেদন করতে হয়। আবেদন করার পর এক সপ্তাহ থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ভিসা পাওয়া যায়। ১০ ডলার থেকে ৩০ ডলার  ভিসা ফি।

আজমেরী বলেন, আমি পেয়েছি পেপার ভিসা। যা মরিশাস মিনিস্ট্রি অফ ডিপার্টমেন্ট থেকে অনুমোদন পাওয়া ছিল। তবে দিল্লি থেকে স্টিকার ভিসাও দেওয়া হয়। খুব সহজেই ফরম পূরণ করে তার সঙ্গে কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিসার আবেদন করা যাবে। তবে কয়েকটি এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকেও ভিসা করা সম্ভব। এতে খরচ কিছুটা বেশি হলেও ঝামেলা মুক্ত।

মরিশাসে থাকার খরচ

মরিশাসের নীল সমুদ্রের সঙ্গে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি রিসোর্ট। তারই মধ্যে ইন্ডিয়ান অবরায়, রেডিশন ব্লু, জে ডাব্লু ম্যারিয়ট আছে। তাছাড়া এখানে অল্প টাকায় অনেক অ্যাপার্টমেন্ট এবং রুম ভাড়া পাওয়া যায়। বাংলাদেশি টাকার ২ হাজার ২শ টাকা থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা খরচ হবে এসব রুম ভাড়া নিতে।

সাধারণত এক রুমের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিলে প্রতি দিনের জন্য খরচ হবে ২২০০ টাকা। আর পাঁচ তারকা হোটেলের জন্য খরচ হবে ১২০ ডলারের মতো।

মরিশাসে খাবার খরচ

মরিশাস হানিমুনের জন্য সবচেয়ে চমৎকার একটি জায়গা। এখানে ২০ শতাংশ মুসলিম থাকায় হালাল খাবারের তেমন কোনো সমস্যা হয় না। তাছাড়া ইন্ডিয়ান কারি, সকালের রুটি পুরি ভাজি পাওয়া যায়। এখানকার পোর্ট লুইসের মার্কেটে লাঞ্চের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় সেখানে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে দুপুরের খাবার পাওয়া যাবে। তবে রেস্টুরেন্টে গেলে বেশি টাকা গুনতে হবে। ৫শ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে খাওয়া দাওয়া করা যাবে।