বছরে ফিলিস্তিনের ২০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তিসহ ভর্তির সুযোগ দেবে ঢাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, প্রতি বছর কমপক্ষে ২০ জন মেধাবী ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদানসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ প্রদান করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্সে এসব শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।
আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস. ওয়াই. রামাদান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে উপাচার্য এমন মন্তব্য করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী ভর্তি, বৃত্তি এবং আবাসিক সুবিধা প্রদানের বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন। এ সময় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নে আগ্রহী ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও বৃত্তি প্রদানের জন্য উপাচার্যকে অনুরোধ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ১৯৭১ সালে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে জোরাল অবস্থান নিয়েছেন।
আরও পড়ুন
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনি মেধাবী শিক্ষার্থী বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও আবাসিক সুবিধাসহ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। ঢাবিতে অধ্যয়নকালে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।
সাক্ষাৎকালে, আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. সামসাদ মুর্তুজা এবং জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এনএফ