তাহিরপুরে ফসল রক্ষা বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে কাজ করছেন কৃষকরা

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বর্ধিত গুরমা হাওরের ‘বাগমারা’ নামক ফসলরক্ষা বাঁধটি ধসে পড়েছে। বাঁধ এলাকার গোলাবাড়ি গ্রামের খসরুল আলম ও স্থানীয় কৃষকরা জানান, শুক্রবার বিকেলে পাটলাই নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় বাগমারা ফসল রক্ষা বাঁধটি ধসে পড়েছে।
এ অবস্থায় স্থানীয় কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধে বাঁশ, কোটা দিয়ে কোনো রকমে বাঁধটি টিকিয়ে রেখেছেন। তিনি আরো জানান, বাগমারা বাঁধটি পুনরায় নির্মাণ করতে না পারলে ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার নোয়াল, খাউজ্যাউরি ও বংশীকুণ্ডাসহ ৩টি হাওরের প্রায় ১০ হাজার একর জমির ধান পানির নীচে তলিয়ে যাবে।
শনিবার ধসে পড়া বাঁধ পরিদর্শনে যান সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে যেসব বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো মেরামতের কাজ চলছে। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় কৃষকরা মেরামতের কাছে অংশগ্রহণ করছেন।
সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের প্রায় আড়াই লক্ষ হেক্টর জমি আবাদ করা হয়েছে। আবাদকৃত জমির মধ্যে যতটুকু ফসল ডুবেছে সেটা আমাদের দুর্ভাগ্য। হঠাৎ করে পাহাড়ি ঢল আসায় এ ক্ষতির মুখে পড়েছি আমরা। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে প্রণোদনা দিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখন বাকি হাওরগুলো নিয়ে কাজ করছি। এজন্য তালিকা পাঠাতে কিছুটা সময় যাচ্ছে।
এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবীর, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী আবুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল লতিফ তরফদার, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাফিজ উদ্দিন, তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনুর তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফুর রহমান লাকসাব, মইনুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আশ্রাউল জামান ইমন, সহ সভাপতি জাহিদ হাসান রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরাজ শাহ, সাংবাদিক শঙ্কর চন্দ, সুজন মিয়া প্রমুখ।
সাইদুর রহমান আসাদ/এমএএস