হাসপাতালের ল্যাবে ইলিশ মাছ, সিলগালা করে দিলেন ম্যাজিস্ট্রেট

Dhaka Post Desk

জেলা প্রতিনিধি, জয়পুরহাট 

৩০ আগস্ট ২০২২, ০৯:৪৭ পিএম


হাসপাতালের ল্যাবে ইলিশ মাছ, সিলগালা করে দিলেন ম্যাজিস্ট্রেট

অডিও শুনুন

বাসা-বাড়ির নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস রাখার ফ্রিজ নয়, একটি চিকিৎসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ল্যাবের ফ্রিজ। সেখানে ওষুধ, ইনজেকশনসহ অপারেশনের কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র থাকার কথা। কিন্তু না, ল্যাবের সেই ফ্রিজে ছিল ইলিশ মাছ। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ তো ছিল, প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্রেও ছিল গরমিল।

জয়পুরহাট জেলা শহরের আনার কলি ল্যাব অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারে এমন অনিয়ম পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানে প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করাসহ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসা সেবাদানকারী আরও তিন প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক কুমার কুণ্ডু। এ সময় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তুলশী চন্দ্র রায়, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জোবায়ের মো. আল ফয়সাল, সিনিয়র মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শ্যামল কুমার চট্রোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।

dhakapost

অর্থদণ্ড করা প্রতিষ্ঠান গুলো হলো- আনার কলি ল্যাব অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, শাদমান ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোম, গ্রিন জেনারেল হাসপাতাল এবং পদ্মা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোম। এর মধ্যে আনার কলি ল্যাব অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার সিলগালা করাসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, পদ্মা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমের অপারেশন রুম সিলগালা, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অন্য দুই প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসা সেবাদানকারী বেসরকারি ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর একটির ল্যাবের ফ্রিজে ইলিশ মাছ ছিল। তাছাড়া লাইসেন্স নবায়ন করা ছিল না, নিয়োগকৃত ডাক্তার ছিল না, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ছিল। এ ছাড়া অন্যগুলোতেও কাগজপত্রে গরমিল ছিল। অনেক ডাক্তারের নামের তালিকা ছিল, কিন্তু নিয়োগপত্র ছিল না। এ জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৯৮২ সালের মেডিকেল প্রাকটিস ও বেসরকারি ক্লিনিক ল্যাবরেটরিস অধ্যাদেশ আইনের ১৩ ধারায় জরিমানা করা হয়েছে।

ডা. তুলসী চন্দ্র রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে লাইসেন্স বিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাব, ব্ল্যাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযানে সহযোগিতা করছেন জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে জনগণ সচেতন হবেন এবং যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তারাও সচেতন হবে। 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক কুমার কুণ্ডু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সদর উপজেলার কয়েকটি বেসরকারি চিকিৎসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছি। একটি প্রতিষ্ঠানে ল্যাবের ফ্রিজে ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। ওই প্রতাষ্ঠানকে পুরো সিলগালাসহ জরিমানা করা হয়েছে। অন্য তিনটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলো সতর্ক ও সচেতন করা হয়েছে।

চম্পক কুমার/আরআই

Link copied