লিটন সিকদারের বদলে লিটন ফরাজীকে মুক্তি, বরখাস্ত কারারক্ষী

শরীয়তপুর জেলা কারাগার থেকে লিটন সিকদারের বদলে লিটন ফরাজী (২৮) নামের এক হাজতিকে ছেড়ে দেওয়ায় কারারক্ষী মো. ইব্রাহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার আমিরুল ইসলাম ও ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামানের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
রোববার (০৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শরীয়তপুর কারাগারে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জেনে সোমবার পালং মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভারপ্রাপ্ত জেলার আমিরুল ইসলাম।
ঘটনাটি তদন্তের জন্য বরিশাল বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) টিপু সুলতানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার শরীয়তপুর জেলা কারাগার পরিদর্শন করে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেন কমিটির সদস্যরা।
সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়েছে, ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় দুজন আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে ও ভুলবশত লিটন সিকদারের জায়গায় লিটন ফরাজী প্রতারণা করে বেরিয়ে যান।
লিটন ফরাজী বরিশালের উজিরপুর উপজেলার দামুরকাঠি গ্রামের আবদুর রব ফরাজীর ছেলে। লিটন সিকদার খুলনার খালিশপুরের আনোয়ার সিকদারের ছেলে।
জেলা কারাগার সূত্র জানায়, ১১ মার্চ লিটন ফরাজী ও লিটন সিকদারকে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে আনা হয়। গোসাইরহাট থানার একটি চুরির মামলার আসামি লিটন ফরাজী ও লিটন সিকদার। তারা দুজন রাজবাড়ী ও খুলনার দুটি মামলারও আসামি।
শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে রোববার গোসাইরহাট থানার ওই মামলায় তাদের জামিন দেওয়া হয়। খুলনা ও রাজবাড়ীর মামলায় লিটন সিকদার জামিনে থাকলেও লিটন ফরাজী জামিনে ছিলেন না।
রোববার আদালত থেকে চুরির মামলায় জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছালে লিটন সিকদারকে না ছেড়ে লিটন ফরাজীকে মুক্তি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন লিটন সিকদারের স্বজনেরা। তখন তাদের নজরে আসে নামের ভুলে লিটন ফরাজী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার রাতে লিটন সিকদারকে জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা লিটন ফরাজীকে ধরার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে।
শরীয়তপুর কারাগারের জেল সুপার গোলাম হোসেন বলেন, লিটন সিকদারের পরিবর্তে লিটন ফরাজীর মুত্তির ঘটনাটি অসতর্কতার কারণে ঘটেছে। জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে হাজতিদের মুক্তি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় কারারক্ষী ইব্রাহিমকে সাময়িক বরখাস্ত আর দুজনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএম