আমি মানুষের সেবায় কাজ করে যাব

নওগাঁ জেলায় বিভিন্ন সময় অসহায় মানুষের পাশে থাকায় প্রশংসিত হচ্ছে বিমান কুমার রায়। তার সামাজিক কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট স্থানীয়রা। তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
জানা গেছে, করোনার এই বৈশ্বিক মহামারিতে বিপদগ্রস্ত, গরিব-দুখী মানুষের পাশে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ত্রাণ, রোজায় ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেছেন জেলাব্যাপী। একইভাবে করোনা ক্রান্তিকালে কৃষক শ্রমিক-সংকটে নিজ উদ্যোগে সার্বিক সহযোগিতায় কৃষকেদের ধান কেটে ঘরে তুলে দেন এই নেতা। এমনকি বছরজুড়ে অসহায় মানুষদের আর্থিক সহযোগিতাও করে আসছেন।
এ ছাড়া কারও কাছে কিছু চেয়ে নিতে যেসব পরিবার লজ্জাবোধ করে, লকডাউনে পরিবারের কাজ বন্ধ রয়েছে, কেউ কম বেতনে চাকরি করলেও বেতন পাচ্ছেন না, এমন ধরনের পরিবারের বাসায় গিয়ে গোপনে তিনি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।
নওগাঁ জেলা স্টেডিয়াম মাঠে ত্রাণ নিতে আসা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি অন্যের দোকানে কাজ করি। লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় কয়েক দিন সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছিল। এই ত্রাণ পেয়ে আমার খুব উপকার হলো।
সদর উপজেলার চণ্ডীপূর এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, একদিকে জমির ধান পেকে গেছে। কয়েক দিন থেকে আবহাওয়া খারাপ যাচ্ছে। ঝড় বৃষ্টির ভয় করছিলাম। বৃষ্টি শুরু হলে ধানের ক্ষতি হয়ে বিপাকে পড়তে হবে। বর্তমান বাজরে শ্রমিকদের মজুরিও বেশি। পরে বিমান কুমার রায় নেতাকর্মীদের নিয়ে কোনো মজুরি ছাড়াই ক্ষেত থেকে ধান বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে মাড়াই করে দিয়েছেন।

পাঁর নওগাঁর ব্যবসায়ী মোতালেব হোসেন, করোনাকালীন বিমান কুমার রায় অসহায় মানুষের পাশে থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। তবে এ দুঃসময় অসহায়দের পাশে স্থানীয় অনেক জনপ্রতিনিধিকে দেখি নাই। করোনার ভয়ে অনেকেই ঘর থেকে বের হয়নি। এ জন্য বিমানের প্রতি নওগাঁর মানুষ কৃতজ্ঞ।
সন্দিব সরকার বলেন, এই লোকটি বৈশ্বিক মহামারিতে এবং রমজান মাসে জেলার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণসামগ্রী, রান্না করা খাবার এবং কৃষকদের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াচ্ছে, এমন মহৎ কাজ সত্যিই প্রশংসিত।
জানতে চাইলে বিমান কুমার রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি সব সময় সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এসব কাজ করতে আমার ভালো লাগে। আমি সারাজীবন মানুষের সেবায় কাজ করে যাব। আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।
শামীনূর রহমান/এনএ