পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন তিনি

গত রোববার (২৮ জুলাই) বিকেলে পাওনা টাকা আদায় করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন হাবিবুর রহমান (২৭)। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে যশোরের অভয়নগরের বিভাগদী এলাকায় ভৈরব নদ থেকে হাতে ও পায়ে বালুর বস্তা বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ।
হাবিবুর রহমান (২৭) অভয়নগরের মধ্যপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে। গত রোববার বিকেলে পাওনা টাকা আদায় করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সোমবার সন্ধ্যা থেকে তারা ভৈরব নদে মরদেহটি দেখতে পান। রাতেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি খুঁজে না পেয়ে ফিরে যায়। মঙ্গলবার সকালে আবার মরদেহটি নদে ভাসতে দেখে নৌ-পুলিশের কাছে খবর পাঠানো হয়। পরে বিকেলে তারা সেখানে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
হাবিবুর রহমানের স্ত্রী তামিমা আক্তার বলেন, ‘গত রোববার বিকেল ৪টার দিকে পাওনা টাকা আদায় করার কথা বলে হাবিবুর বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে আর বাড়িতে ফেরেননি। লোকমুখে শুনে মঙ্গলবার দুপুরে ভৈরব নদে ভাসতে থাকা অবস্থায় স্বামীর লাশ দেখতে পাই।’
অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) লোকমান হোসেন বলেন, ‘ভৈরব নদে উপুড় অবস্থায় হাবিবুরের মরদেহটি ভাসছিল। তার পেটের চারদিকে নাইলনের দড়ি প্যাঁচানো এবং দুই হাত ও দুই পায়ে মোট চারটি বালুর বস্তা নাইলনের দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। উদ্ধারের পর পেটের ডান পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। এছাড়া মাথার পেছনের দিকেও আঘাতের চিহ্ন আছে। উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এ্যান্টনি দাস অপু/এসকেডি