মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রং মিশিয়ে বিস্কুট তৈরি

বরগুনার আমতলী উপজেলার বিভিন্ন বেকারীর কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। এ সময় নোংরা পরিবেশ ও ক্ষতিকর রং মিশ্রিত করে বিস্কুট তৈরির অপরাধে দুটি কারখানার ম্যানেজার এবং একটি কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আমতলী পৌরশহরের পুরাতন বাজারের মিঠাবাজার নামক এলাকায় বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শরীয়ত উল্লাহ শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরের দিকে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় বরগুনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. ইলিয়াস মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
কারাগারে পাঠানো ওই তিনজন হলেন—আমতলীর নিউ বিসমিল্লাহ বেকারির ম্যানেজার মো. মনির হোসেন (৪০), খাঁন ফ্রেশ বেকারির ম্যানেজার মো. সোহেল হাওলাদার (২৭) এবং রিয়াদ বেকারির মালিক মো. রেজাউল করিম (৪২)।
আরও পড়ুন
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন এবং ভেজালমুক্ত রাখার লক্ষে আমতলী পৌরশহরের কয়েকটি বেকারীর কারখানায় বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তিনটি বেকারি কারখানায় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রং মিশ্রিত করে এবং নোংরা পরিবেশে বিস্কুট উৎপাদনের অপরাধে দুটি কারখানার ম্যানেজার ও একটি কারখানার মালিককে আটক করা হয়। পরে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য আইনের ২০১৩-এর ৩৩ ধারায় মামলা দায়ের করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. ইলিয়াস মিয়া বলেন, ভেজাল খাদ্য তৈরি বন্ধে আমতলীর বিভিন্ন বেকারি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তিনটি কারখানায় নোংড়া পরিবেশে ও ক্ষতিকর রং মিশিয়ে বিস্কুট তৈরির অপরাধে তিনজনকে আটকের পর আদালতের নির্দেশে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মো. আব্দুল আলীম/এএমকে