হঠাৎ জয়পুরহাট-ঢাকা রুটে দেড় ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ

জয়পুরহাট থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল হঠাৎ করে বন্ধ থাকার দেড় ঘণ্টা পর আবারও চলাচল শুরু হয়েছে। এই সময়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ সিদ্ধান্তে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়। দেড় ঘণ্টা পর রাত ১০টা থেকে চলাচল শুরু করে। এই সময়ে কোনো বাস চলাচল না করায় যাত্রীদের টাকা ফেরত দিয়েছে কাউন্টারগুলো।
বাস কাউন্টার ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সারাদিন জয়পুরহাট থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল। সন্ধ্যার সময়ও অনেক বাস জয়পুরহাট ছেড়ে গেছে। রাত ৮টার পর হঠাৎ করে পুলিশের পক্ষ থেকে বাস চলাচল বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এরপর রাত সাড়ে ৮টা থেকে জেলার সব কাউন্টার বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং যাত্রীদের টাকা ফেরত দিতে শুরু করে। পরবর্তীতে রাত ১০টার দিকে পুলিশ আবারও বাস চলাচল করার জন্য নির্দেশ দেয়। এরপর চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাসযাত্রী মাহমুদুল হাসান বলেন, কাউন্টারে এসে শুনি গাড়ি বন্ধ। এমনকি যাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। আমি কাউন্টারেই ছিলাম। পরে আবার বলা হয় একটি বাস যাবে।
আব্দুর রশিদ নামে আরেক বাসযাত্রী রাত সাড়ে ১১টায় বলেন, আমি ঢাকায় চাচার বাসায় যাবো। এসআই গাড়ির কাউন্টারে এক ভাই পরিচিত আছে। তাকে বলেছিলাম পরে টাকা দেবো। এই ধামইরহাট থেকে জয়পুরহাট আসার পর নেমে দিয়ে বলে ভাই আর গাড়ি যাবে না। কাছে ৩০০ টাকা থাকার কারণে আর কোনো গাড়িও পাচ্ছি না।
জয়পুরহাটের হানিফ বাস কাউন্টারের ম্যানেজার আবু সাঈদ বলেন, বাস বন্ধের কারণ আমরা জানি না। হঠাৎ থানা থেকে ফোন করে বাস বন্ধ করার কথা বলা হয়। কারণ জানতে চাইলে (পুলিশের কাছে) বিশেষ কারণ বলা হয়েছে। তারপরে আবারও কল করে কারণ জানতে চাইলে বলা হয় উত্তরবঙ্গ থেকে কোনো বাস যাবে না। এরপর ওপরে কথা বললাম, তারা খোঁজ নিয়ে জানান, সব জেলা থেকে বাস যাচ্ছে। পরবর্তীতে আবার পুলিশের পক্ষ থেকে বাস ছাড়তে বলা হয়। আমরা কৌশলগতভাবে যাত্রীদের ধরে রেখেছিলাম।
সামি বাস কাউন্টারের ম্যানেজার মো. শহিদ বলেন, রাতে হঠাৎ করে বলা হয় গাড়ি ছাড়া হবে না, গাড়ি বন্ধ। তখন যাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়া হলো। সব গাড়িই একই অবস্থা। পরে আবার বলা হয় গাড়ি চলবে। যে সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়, ওই সময় আমাদের চারটি গাড়ি যেত। কিন্তু সেগুলো যায়নি। একই কথা বলেন, শ্যামলী বাস কাউন্টার, শাহ ফতেহ আলী বাস কাউন্টারসহ আরও কয়েকটি কাউন্টারের দায়িত্বরতরা।
জয়পুরহাট জেলা মটরশ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি গোলাম মর্তুজা শিপলু বলেন, সেভাবে বন্ধ ছিল না। প্রশাসনের চেকিংয়ের বিষয়। টাকা ফেরত বিচ্ছিন্নভাবে কে-কি করেছে জানি না। রাতে একটি মিটিংয়ের পর বাস চলাচল শুরু করা হয়—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এভাবে আমি এতো কিছু জানি না।
জানতে চাইলে জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দিক বাস বন্ধের কারণ জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে রাত ১০টার দিকে বলেন, বাস চলাচল এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাবকে মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি হোয়াটস্অ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
চম্পক কুমার/এএমকে