জাতীয় নারী ফুটবল দলের গোলরক্ষকের বাবাকে ইজিবাইক দিলেন ডিসি

ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশের পর জাতীয় নারী ফুটবল দলের গোলরক্ষক ফেরদৌসি আক্তার সোনালীর বাবা ফারুক ইসলামকে একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক উপহার দিয়েছেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবেত আলী।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফারুক ইসলামের হাতে নতুন ইজিবাইকের চাবি তুলে দেন জেলা প্রশাসক। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাস, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল হক তারেক এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালীন সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী উপস্থিত ছিলেন।
ফারুক ইসলামের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বনগ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। তার মেয়ে ফেরদৌসি আক্তার সোনালী বর্তমানে জাতীয় নারী ফুটবল দলের গোলরক্ষক হিসেবে খেলছেন।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত ‘আমি ভ্যান চালাই, আমার মেয়ে বিমানে চড়ে খেলতে যায়’ শিরোনামের বিশেষ প্রতিবেদনে উঠে আসে ফারুক ইসলামের সংগ্রামী জীবনের গল্প। প্রতিবেদনে ফুটবলার মেয়ের স্বপ্নপূরণের পথে বাবার ত্যাগ ও কষ্টের কথা জানানো হয়। সেই সংবাদ জেলা প্রশাসক সাবেত আলীর নজরে এলে তিনি নিজেই তাদের খোঁজখবর নেন এবং পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন।
গত ২৫ আগস্ট ফারুক ইসলামের বাড়ি পরিদর্শনে গিয়ে একটি নতুন ইজিবাইক এবং দৃষ্টিনন্দন পাকা ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ফারুক ইসলামের হাতে ইজিবাইকের চাবি হস্তান্তর করা হলো।
ইজিবাইক পেয়ে উচ্ছ্বসিত ফারুক ইসলাম বলেন, ভ্যান চালিয়ে যা উপার্জন হয় তা দিয়েই সংসার চলতো। কষ্টের মধ্যেও মেয়েকে ফুটবলার হতে সহায়তা করেছি। আমার পরিবারের দুর্দশা সংবাদে প্রকাশিত হলে জেলা প্রশাসক এগিয়ে আসেন এবং আজ একটি নতুন ইজিবাইক উপহার দিলেন। আশা করি এখন আয় বাড়বে।
জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা সোনালী নিজের অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্য দিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছে। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেও সে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। আমরা তার পরিবারের দুরবস্থা জেনে পাশে দাঁড়িয়েছি। আজ তার বাবাকে ইজিবাইক উপহার দিয়েছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি শিগগিরই তাদের জরাজীর্ণ টিনের ঘরের পরিবর্তে একটি পাকা ঘরও নির্মাণ করে দেব।
মো. নুর হাসান/এমএএস