থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজারে আতশবাজি-কনসার্ট বন্ধসহ ৭ নিষেধাজ্ঞা

ইংরেজি নববর্ষ ২০২৬ উদযাপন উপলক্ষ্যে কক্সবাজার জেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৭টি নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত বিধি-নিষেধগুলো কার্যকর থাকবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে কক্সবাজার শহর ও সমুদ্রসৈকত এলাকায় আতশবাজি, পটকা ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়াতে আতশবাজি ও পটকা বিক্রি/বিপণন কেন্দ্রও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া উন্মুক্ত স্থান ও সড়কে কোনো ধরনের কনসার্ট, নাচ-গান বা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না এবং ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলার সব বার ও মদের দোকানে মদ ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ থাকবে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার বা উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়ানো থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। একইসাথে এ ধরনের কর্মকাণ্ড সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
এছাড়াও উচ্চ শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো, প্রতিযোগিতা, জয় রাইড এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরসাইকেল, চালানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে আগত নারী পর্যটকদের ইভটিজিং বা হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
হোটেল ও মোটেল কর্তৃপক্ষকে ইনডোর অনুষ্ঠানের তথ্য এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিষয়ে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখাকে (ডিএসবি) অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জেলা পুলিশের গণমাধ্যম মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, পর্যটকসহ জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জেলা পুলিশ বদ্ধ পরিকর এবং জনস্বার্থেই এসব বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে যেন অপ্রীতিকর কিংবা কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়িয়ে নতুন বছরকে সবাই স্বাগত জানাতে পারেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় শহরজুড়ে কঠোর পুলিশি তৎপরতা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইফতিয়াজ নুর নিশান/আরএআর