গাইনি ওয়ার্ড ৫ তলায়, সিঁড়িতেই প্রসূতির সন্তান প্রসব

শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের দুটি লিফটই গত ৪ দিন ধরে নষ্ট। বর্তমানে ৮ তলা বিশিষ্ট এ ভবনে ওঠা নামার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে সিঁড়ি।
এদিকে লিফট সচল না থাকায় সিঁড়ি বেয়ে ৫ তলায় গাইনি ওয়ার্ডে যাওয়ার পথে প্রথম তলার সিঁড়িতেই এক প্রসূতি বাচ্চা প্রসব করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী ওই নারীর শাশুড়ি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের বাসিন্দা। শনিবার দুপুর ১২টায় সদর হাসপাতালে ভর্তি হই। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে লিফট না পেয়ে সিঁড়ি বেয়ে ৫ তলায় গাইনি ওয়ার্ডে যাওয়ার সময় প্রথম তলার সিঁড়িতেই আমার ছেলের বউ বাচ্চা প্রসব করে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি হাসপাতালের নতুন ভবনের কার্যক্রম শুরু হয়। এ ৮ মাসের মধ্যে দুটি লিফটই অন্তত কয়েকবার নষ্ট হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ আগস্ট থেকে হাসপাতালের লিফট দুটিই বিকল ।
সরজমিনে দেখা গেছে, ৮ তলা বিশিষ্ট এ ভবনের দুটি লিফট নষ্ট থাকায় ডাক্তার, রোগী, স্বজনসহ নার্সরা ব্যবহার করছেন সিঁড়ি। এতে যেমন দীর্ঘ সময় লাগছে কাঙ্খিত ওয়ার্ডে পৌঁছাতে তেমনি গুরুতর অসুস্থ বা বয়োবৃদ্ধদের পোহাতে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনা।
এ বিষয়ে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনোয়ারুর রউফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে লিফট দুটি বন্ধ রয়েছে। দ্রুত লিফট দুটি ঠিক করতে ইতোমধ্যে গণপূর্ত বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
শেরপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান জানান, লিফটে পানি ঢুকলে লিফট নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
জাহিদুল খান সৌরভ/এমএএস