পায়রা সেতুর উদ্বোধনে খুশি কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা 

Dhaka Post Desk

উপজেলা প্রতিনিধি, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

২৪ অক্টোবর ২০২১, ০৩:৫৪ পিএম


পায়রা সেতুর উদ্বোধনে খুশি কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা 

ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী এলাকার খরস্রোতা পায়রা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে এক হাজার ৪৭০ মিটার দীর্ঘ পায়রা সেতু (লেবুখালী ব্রীজ)।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (২৪ অক্টোবর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়ালি এই সেতুর উদ্বোধন করেন।

এ সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। পর্যটনের ক্ষেত্রে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের অপার সম্ভাবনা তৈরি হবে। কক্সবাজারের চেয়ে কাছের দূরত্বে চলে এসেছে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা পৌঁছাতে সময় লাগবে এখন মাত্র ৭ ঘণ্টা। এ কারণেই খুশি সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটার ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারীসহ ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা।  

Dhaka Post

স্বপ্নের এ সেতু খুলে দেওয়ায় খুশি দক্ষিণাঞ্চল তথা গোটা বরিশাল বিভাগের মানুষ। কারণ এই সড়ক পথের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে যেমন দক্ষিণাঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে তেমনই শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটবে। ব্যবসায়ীদের দাবি, পায়রা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার পর্যটন সেক্টরে বিশেষ উন্নয়ন ঘটবে। 

কুয়াকাটার হোটেল ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পায়রা সেতু খুলে দেওয়ায় আমরা খুবই খুশি। এখন কুয়াকাটায় দিন দিন পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আমরা ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হব। সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। 

খাবার হোটেল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসায়িক ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বেশি সময় লাগবে না।

Dhaka Post 

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব শরীফ বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা হোটেল ব্যবসায় সেবার মান বাড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। দেশের বড় বড় বিনিয়োগকারীরা কুয়াকাটায় পাঁচ তারকা মানের হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। স্বপ্নের পায়রা সেতু কুয়াকাটার ব্যবসায়ীদের ভাগ্যের দরজা খুলে দিয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে নতুন দিগন্তের।

কাজী সাঈদ/আরআই

Link copied