অবিলম্বে ডা. সাদীর মুক্তিসহ ৩ দাবি এনডিএফের

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রিকশাচালক ইসমাইলের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ডেল্টা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদী বিন শামসেরের মুক্তিসহ ৩ দফা দাবি জানিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)।
রোববার (২০ জানুয়ারি) এনডিএফের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডা. সাদী বিন শামস ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের লড়াইয়ের ক্ষতচিহ্ন বহন করছেন। তাকে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্তে চিকিৎসক সমাজ বাকরুদ্ধ। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি, অবিলম্বে ডা. সাদী বিন শামস সহ কারারুদ্ধ ৫ ব্যক্তিকে মুক্তি না দিলে চিকিৎসক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে এনডিএফ।
এতে আরও বলা হয়, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের পক্ষ থেকে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার সিএমএম আদালত কর্তৃক ডেল্টা হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বিচার ব্যবস্থার অমানবিক ও অন্যায়মূলক ব্যবহার। এটি চিকিৎসা পেশার প্রতি অসম্মান এবং একটি উদ্দেশ্যমূলক চক্রান্ত।
আরও পড়ুন
জুলাই মাসের গণ-আন্দোলনের সময় চিকিৎসকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেই সময় দুটি ভিন্ন চিত্র উঠে এসেছিল। একদিকে একটি গ্রুপের চিকিৎসকরা স্বৈরাচারী শক্তির তাবেদারি করেছে, আর অন্যদিকে আমাদের অনেক সহকর্মী চাকরি এবং হয়রানির ভয় উপেক্ষা করে নিজের জীবন বাজি রেখে আহতদের সেবা দিয়েছেন। সে সময় বিভিন্ন হাসপাতালে পাহারা বসিয়ে আহতদের চিকিৎসা নিতেও বাধা দেওয়া হয়েছে, যা চিকিৎসা সেবার প্রতি চরম অমানবিক আচরণ।
এনডিএফ আরও জানায়, ১৯ জুলাই ডেল্টা হেলথ কেয়ারের কর্মচারীরা শহীদ রিকশাচালক ইসমাইলকে হাসপাতালে ভর্তি করতে চাইলেও ব্যর্থ হন। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই ইসমাইলের মৃত্যু হয়। অথচ সেই ঘটনার প্রকৃত দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে, চিকিৎসকদের দোষারোপ করা এবং তাদের কারাগারে প্রেরণ করা সম্পূর্ণ অন্যায়। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, গুলি করেছে পুলিশ, রিকশাচালককে হত্যা করেছে পুলিশ। অথচ হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে চিকিৎসকদের। এটি বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
এনডিএফের দাবিগুলো হলো-
১. অবিলম্বে ডেলটা হেলথকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকসহ কারারুদ্ধ পাঁচ ব্যক্তিকে মুক্তি দিতে হবে।
২. এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
৩. রিকশাচালক শহীদ ইসমাইল হত্যা মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও তদন্তের আওতায় আনতে হবে।
টিআই/এমএন