টিকাদানে ইউরোপের দুর্বলতা

ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ইউরোপের মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতা স্বীকার করেছেন। তার মতে, উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে জটিলতা সম্পর্কে ভাবা উচিত ছিল তাদের। খবর ডয়েচে ভেলের।
জনজীবন তথা অর্থনীতির ওপর মহামারির নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে সংশয়ের অবকাশ নেই। এমন প্রেক্ষাপটে এ সংকটের মোকাবিলায় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রশ্নের মুখে পড়ছে। বিশেষ করে ইউরোপের বর্তমান করুণ পরিস্থিতি অন্তত তাই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সমালোচকরা বলছেন, টিকার ঘাটতি মেটাতে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জাতীয় স্তরে সীমাবদ্ধ না রেখে ইউরোপীয় কমিশনের হাতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তুলে দেওয়া সত্ত্বেও সুবিধার বদলে অচলাবস্থা দেখা যাচ্ছে বলে তারা মনে করেন।
এমন সমালোচনার জবাবে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট টিকা সংক্রান্ত নীতির ক্ষেত্রে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করছেন। ভবিষ্যতেও টিকা সরবরাহে ঘাটতি সম্পর্কে পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি।
ইউরোপের একাধিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি অবশ্য স্বীকার করেছেন, টিকা উৎপাদনের ক্ষমতা বাড়াতে ইউরোপ আরেও আগে পদক্ষেপ নিতে পারতো। শুধু প্রতিযোগিতার বাজারে টিকার দাম নিয়ে দরকষাকষির সঙ্গে সঙ্গে বিশাল মাত্রায় টিকা উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা করা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ইসরায়েলের মতো দেশ এক্ষেত্রে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিয়ে ইতোমধ্যে আরও বেশি মানুষকে টিকা দিতে পেরেছে। জোট হিসেবে সব সদস্য দেশের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া সেই তুলনায় বেশি জটিল বলে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তবে এখনো তিনি মনে করেন, চলতি বছরের গ্রীষ্মকালের শেষে ইউরোপের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ করোনা টিকা পেয়ে যাবেন।
এএস