অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় হোসেন ফারক ৩ দিনের রিমান্ডে

জুলাই আন্দোলনের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের জন্য ১০০ কোটি টাকা অনুদান পাইয়ে দেওয়ার নামে এক নাট্য প্রযোজকের ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় মোহাম্মদ হোসেন ফারুক নামে এক ব্যক্তির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের সঙ্গে ছবি দেখিয়ে এসব কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে লভ্যাংশ ভাগাভাগির অংশ হিসেবে অগ্রিম ৫০ লাখ টাকা নেন বলে অভিযোগ প্রযোজকের মীর ফখরুদ্দিন ছোটনের।
বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
রাজধানীর গুলশান থানায় নাট্য প্রযোজক মীর ফখরুদ্দিন ওরফে ছোটনের দায়ের করা মামলায় তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হারুনুর রশিদ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, আসামি ফারুকের সঙ্গে মামলার বাদীর বন্ধুর মাধ্যমে ব্যবসায়িক কারণে পরিচয় হয়। গত বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে আসামি ফারুক জানায়, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আসিফ মাহমুদ ও এনসিপির হাসনাত, সারজিসের সঙ্গে ছবি দেখিয়ে সরকারি প্রোগ্রাম ও ডকুমেন্টারি প্রজেক্টে ১০০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে। সেজন্য প্রফিট শেয়ারের অংশ হিসেবে হাসনাত ও সারজিসকে ২ কোটি টাকা দিতে হবে, আর অগ্রিম হিসেবে এখনি ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। পরে মামলার বাদী গত বছরের ১৯ নভেম্বর ফারুককে ৫০ লাখ টাকা দেন।
পরবর্তী সময়ে কাজ পাওয়ার জন্য বারবার কল দিলেও আসামি কল রিসিভ করেনি। উল্টো এ বছরের ১৩ আগস্ট টাকা চাইলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী বিষয়টি হাসনাতকে জানান। পরে গত ২৫ আগস্ট এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় জিডি করেন হাসনাত। ১ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী মীর ফখরুদ্দিন ওরফে ছোটন।
এনআর/এসএম