দ্বিতীয় দফায় কর্মবিরতিতে চট্টগ্রামের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য কাউকে চিকিৎসকের স্বীকৃতি না দেওয়াসহ পাঁচ দাবিতে দ্বিতীয় দফায় কর্মবিরতি পালন করছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন (শিক্ষানবিশ) চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরাও ক্লাস বর্জন করেছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে তারা কাজে যোগ দেননি। ফলে রোগীদের সেবায় ব্যাঘাত ঘটছে। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের স্থায়ী চিকিৎসকদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এরপর মিছিল নিয়ে জেলা সিভিল সার্জনের কাছে ৫ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। এতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ বেসরকারি ৮ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাকিব হোসেন বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবির প্রতি একমত পোষণ করেছেন সিভিল সার্জন। আগামীকাল হাইকোর্টে আমাদের দাবির ওপর একটি রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। রায়ের ওপর ভিত্তি করে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ হবে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশে এই আন্দোলন চলমান থাকবে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, এতদিন আন্দোলন চলমান থাকার পর ও যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাটস, ডিএমএফসহ কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না। এ ছাড়া চিকিৎসকদের চাকরিতে বয়স ৩২ বছর থেকে বাড়াতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবি হলো— এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ চিকিৎসক লিখতে পারবে না। বিএমডিসি নিবন্ধন শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সাল থেকে সরকার ম্যাটসদের (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করেছে। এই ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
আরএমএন/এআইএস