চট্টগ্রামে পানি সংকট, ওয়াসা ঘেরাও ভুক্তভোগীদের

পানি সংকটের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের ওয়াসা কার্যালয় ঘেরাও করেছেন ভুক্তভোগীরা। এসময় তারা পানির অনিয়মিত সরবরাহ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দামপাড়া কার্যালয়ের সামনে অর্ধ শতাধিক মানুষ এ বিক্ষোভে অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট চলছে, যা রমজানে চরম আকার ধারণ করেছে।
এ বিষয়ে নগরের ধনিয়ালাপাড়ার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিয়মিত পানি পাচ্ছি না। এমনকি রমজানের মধ্যেও শনিবার থেকে পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পানি সরবরাহ বন্ধ ছিল। প্রায়ই পাইপলাইন ফেটে যাচ্ছে, যার কারণে আমরা তীব্র পানি সংকটে ভুগছি। আমরা এই চলমান সংকটের বিরুদ্ধে দাবি জানাতে এখানে এসেছি।'
চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, শনিবার (৮ মার্চ) রাত ৮টার দিকে নগরের সাগরিকা এলাকায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) এর উন্নয়নকাজের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ভুলে ওয়াসার প্রধান সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে আগ্রাবাদসহ আশপাশের অন্তত ১৮টি এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম জানান, মাটির টপসয়েল থেকে প্রায় ১৫ ফুট নিচে আমাদের প্রধান সঞ্চালন লাইনের একটা পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে আশপাশের কিছু এলাকায় পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। পাইপলাইন মেরামতের কাজ চলছে। দ্রুত পানির সরবরাহ স্বাভাবিক করতে আমরা কাজ করছি।
আরও পড়ুন
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, পিজিসিবির একটি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ চলাকালীন সাগরিকা মোড়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার ১১০০ এম এম ব্যাসের প্রধান সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে নগরের ধনিয়ালাপাড়া, দেওয়ানহাটসহ আশপাশের বেশকিছু এলাকায় পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য রোজার ৪ দিন আগে একবার প্রধান সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটাও বড় ধরনের ক্ষতি। প্রায় সাত থেকে আটদিন লেগেছে মেরামত করতে। এখন আরও একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আমরা আশা করছি, আজ সন্ধ্যার মধ্যে লাইনটি মেরামত শেষে চালু করতে পারবো। এরপর পানি সরবরাহ পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হবে।
আরএমএন/এমএন