মিরপুরে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি, আটক ৬

রাজধানীর মিরপুর-১৩ নম্বরে সাইক কলেজ অব মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে অনুষ্ঠান করার অনুমতি চাইতে এসে চেয়ারম্যানের সঙ্গে স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীর বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে ছাত্র ও এলাকাবাসী যৌথ বাহিনীকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন—রেজাওয়ানুল করিম, ফারহান শাহরিয়ার, ফয়সাল মাহামুদ, আতাউর রহমান, ইশতিয়াক খান ও আরিয়ান ইসলাম।
রোববার (২৫ মে) বিকেল ৫টার দিকে রাজধানী মিরপুর-১৩ নম্বর কাফরুল থানাধীন সেনপাড়া পর্বতা সাইক কলেজ অব মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এরপর তাদেরকে কৃষি ব্যাংক ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্র জানায়, স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের আটকে যৌথ বাহিনীকে খবর দিলে তারা এসে ছয়জনকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী থেকে জানালে পরে, জানাতে পারবো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্ভবত তারা ওখানে একটি ক্যাম্পেইন করার জন্য গিয়েছিল। না জেনে কিছু বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ছাত্রদলের পরিচয় দিয়ে দুপুরে (রোববার) প্রিন্স নামে একজন সাইক কলেজ অব মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে আসছিলেন। তখন তিনি আমাদের চেয়ারম্যান স্যারকে বলেন, একটি কোলড্রিংস কোম্পানির অনুষ্ঠান করতে চায়। তখন চেয়ারম্যান স্যার বলেন, “আমাদের ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় অনুষ্ঠান করলে ক্লাসের ব্যাঘাত ঘটবে। আমাদের বিভিন্ন প্রোগ্রাম ডে আছে। সে সময় আসেন তখন অনুষ্ঠান করতে পারবেন।’ তখন প্রিন্স আমাদের স্যারকে বলেন, আমি ছাত্রদল করি, এই এলাকার ছেলে, আমাকে অনুষ্ঠান করতে দিতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী প্রোগ্রাম করার কথা বললে, প্রিন্স বলে ওঠে আপনি আওয়ামী লীগ করেন। আপনাকে দেখেছি বলে চলে যায়।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, বিকেল ৩টার দিকে ছাত্রদলের নেতা পরিচয় দিয়ে ফয়সাল আসেন। তার সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ জন ছেলে আসে। তখন তারা আমাদের চেয়ারম্যান স্যারের রুমে ঢুকে। আমাদের শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলে। একপর্যায়ে হাতাহাতির মতো ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্ররা ও এলাকাবাসী মিলে তাদেরকে আটকে রেখে যৌথ বাহিনীকে খবর দেয়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়।
এমএসি/এএমকে