২৫০ কেজি ওজনের বোমাটি তাজা ছিল: বিমানবন্দর পরিচালক

রাজধানী ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ চালানোর সময় উদ্ধার হওয়া ২৫০ কেজি ওজনের বোমাটি তাজা ছিল। তবে মাটির অনেক গভীরে থাকায় এটি বিস্ফোরিত হয়নি।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) দ্বিতীয়বারের মতো বোমা উদ্ধারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এর আগে বুধবার একটি বোমা পাওয়া গিয়েছিল সেখানে। রসুলপুরে বিমানবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে সেই বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। ধ্বংস করার সময় ১৫ ফিট গভীর পর্যন্ত গর্ত সৃষ্টি হয়েছিল। আজ আবারও একই ধরনের সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই বোমাটির মধ্যেও তেজস্ক্রিয়তা রয়েছে। মাটির অনেক গভীরে থাকায় এটি বিস্ফোরিত হয়নি।’
তৌহিদ উল আহসান বলেন, ‘বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের কাজের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছে তাদের আমরা সতর্ক করে দিয়েছি, যেন আবারও বোমা পাওয়া গেলে সেই জায়গাটি দ্রুত নিরাপত্তার বলয়ে আনা হয়। তারা যেন আগেভাগেই লোকজনকে সরিয়ে নেয়। এছাড়াও খনন কাজ করার সময় যেন শ্রমিকরা সাবধানতা অবলম্বন করে।’
বোমা উদ্ধারের বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কনস্ট্রাকশন সাইটে পাইলিংয়ের কাজ করার সময় সকাল সাড়ে ৮টায় ১০ ফুট মাটির নিচ থেকে আরও একটি ২৫০ কেজি ওজনের জেনারেল পারপাস (জিপি) বোমাসদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’র প্রশিক্ষিত বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে। পরে বোমাটি ধ্বংস করতে সতর্কতার সঙ্গে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বোমা বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভূমিতে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
এআর/এমএসি/এফআর