বার্ন ইউনিট বাড়ানো যখন সময়ের দাবি

যেকোনো দেশের জন্য বার্ন ইউনিট বা ডেডিকেটেড বার্ন হাসপাতাল অত্যন্ত জরুরি এবং প্রয়োজনীয়। কারণ আগুনে পোড়া রোগীর চিকিৎসা অত্যন্ত জটিল, সময়সাপেক্ষ এবং বিশেষায়িত ক্ষেত্র। সঠিক এবং দ্রুত চিকিৎসা না পেলে বার্ন রোগীর জীবনহানি এমনকি পঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বার্ন ইউনিট পোড়া রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব সুবিধা যেমন বিশেষায়িত ডাক্তার, নার্স, থেরাপিস্ট, অস্ত্রোপচারের সুবিধা, নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (ICU), অত্যাধুনিক ড্রেসিং সামগ্রী এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থা থাকে। উন্নত দেশে বার্ন ইউনিট বা বার্ন হাসপাতাল সাধারণত সে দেশের জনসংখ্যা, দেশের আয়তন, হাসপাতালের দূরত্ব ইত্যাদি মাথায় রেখে মডেল তৈরি করা হয়।
বৃহৎ পরিসরে বা বিস্তীর্ণ বার্ন সেন্টার (Comprehensive Burn Center):
এই ধরনের সেন্টারে সব ধরনের পোড়া রোগীর (যেমন আগুন, তাপ, রাসায়নিক, বিদ্যুৎ, বিকিরণ) চিকিৎসা করা হয়। এখানে জরুরি চিকিৎসা থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন পর্যন্ত সব সুবিধা বিদ্যমান থাকে। এ ধরনের সেন্টারগুলো সাধারণত মেডিকেল কলেজ বা বড় হাসপাতালের সাথে সংযুক্ত থাকে।
আঞ্চলিক বার্ন সেন্টার (Regional Burn Center):
একাধিক হাসপাতাল বা কয়েকটি অঞ্চলের রোগীদের জন্য একটি কেন্দ্রীয় বার্ন সেন্টার থাকে। এটি সাধারণত বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে কাজ করে এবং জটিল পোড়া রোগীদের এখানে রেফার করা হয়।
পেডিয়াট্রিক বার্ন ইউনিট (Pediatric Burn Unit):
শিশুদের পোড়া রোগের জন্য বিশেষায়িত ইউনিট, যেখানে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের কথা মাথায় রেখে চিকিৎসা ও পরিচর্যা করা হয়।
পুনর্বাসন কেন্দ্রসহ বার্ন ইউনিট (Burn Unit with Rehabilitation Center):
পোড়া রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনের জন্য ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলিং ইত্যাদি সুবিধা প্রদান করা হয়।
উন্নত দেশগুলোয় কতগুলো বার্ন ইউনিট বা বার্ন হাসপাতাল আছে তার সঠিক সংখ্যা বলা কঠিন কিন্তু তারা তাদের দেশের আকার, জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্যসেবা কাঠামোর ওপর নির্ভর করে ইউনিটের সংখ্যা নির্ধারণ করে থাকে। তবে উন্নত দেশগুলোয় প্রতিটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক বার্ন ইউনিট বা সেন্টার থাকে। উন্নত দেশগুলো বার্ন ইউনিটের সংখ্যা পর্যাপ্ত বা বেশি বিস্তার করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।
আমাদের দেশে অগ্নিদগ্ধ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। শিল্প-কারখানা, বসতবাড়ি, গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ, বিদ্যুতায়িত দুর্ঘটনা, রাসায়নিক দাহ্য পদার্থ, শীতকালে আগুন পোহানো, বিমান বিধ্বস্ত হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে প্রতিনিয়ত মানুষ দগ্ধ হচ্ছে।
দিন দিন এই ধরনের ইউনিটের চাহিদা বাড়ছে কারণ সারাবিশ্বে অগ্নিকাণ্ড, দুর্ঘটনা এবং অন্যান্য কারণে পোড়া রোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়।
পোড়া রোগীর চিকিৎসা বেশ জটিল চিকিৎসা। এজন্য বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতার পাশাপাশি ধৈর্যের ও প্রয়োজন হয়। হাসপাতাল থেকে জনবসতির দূরত্ব যত কম হবে তত দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হবে। ফলে জীবন বাঁচাতে এবং পঙ্গুত্ব প্রতিরোধ করা কিছুটা হলেও সহজ হবে।
পোড়া রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনের প্রয়োজন হয় যা তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সাহায্য করে। এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা শুধুমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল বা বার্ন ইউনিটে সম্ভব কিন্তু সাধারণ হাসপাতালে সম্ভব হয়ে ওঠে না।
এর পাশাপাশি উন্নত বার্ন ইউনিটগুলোয় পোড়া রোগের উন্নত চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন
আমাদের দেশে বার্ন ইউনিট বাড়ানো সাম্প্রতিক সময়ের জোরালো দাবি এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়, যার পেছনে রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণ। অগ্নিদগ্ধ রোগীদের দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এবং তাদের জীবন বাঁচাতে এর কোনো বিকল্প নেই।
আমাদের দেশে অগ্নিদগ্ধ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। শিল্প-কারখানা, বসতবাড়ি, গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ, বিদ্যুতায়িত দুর্ঘটনা, রাসায়নিক দাহ্য পদার্থ, শীতকালে আগুন পোহানো, বিমান বিধ্বস্ত হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে প্রতিনিয়ত মানুষ দগ্ধ হচ্ছে। এই বিপুল সংখ্যক রোগীর চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত বার্ন ইউনিট নেই, যার ফলে অনেক রোগী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পায় না বা পেতে দেরি হয়।
গুরুতরভাবে দগ্ধ রোগীদের দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসা না পেলে মৃত্যুর হার অনেক বেশি থাকে। এমনকি যারা বেঁচে যান, তাদেরও দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ও মানসিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন - অঙ্গহানি, বিকৃতি, সংক্রমণ এবং মানসিক ট্রমা। পর্যাপ্ত বার্ন ইউনিট থাকলে এই জটিলতাগুলো অনেকটাই কমানো সম্ভব।
দগ্ধ রোগীর চিকিৎসা অত্যন্ত বিশেষায়িত ক্ষেত্র। এর জন্য শুধু ডাক্তার নয়, নার্স, ফিজিওথেরাপিস্ট, পুষ্টিবিদ, মনোবিজ্ঞানীসহ মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিমের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও দগ্ধ রোগীদের জন্য বিশেষায়িত সরঞ্জাম যেমন - ড্রেসিং ম্যাটেরিয়াল, ভেন্টিলেটর এবং ইনফেকশন কন্ট্রোল সিস্টেমের প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত বার্ন ইউনিট না থাকায় এই বিশেষায়িত সেবার অভাব প্রকট।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, দেশের প্রথম বার্ন ইনস্টিটিউট। দেশের সব পোড়া রোগীদের একমাত্র ভরসার জায়গা এটি। গ্রামীণ এবং মফস্বল এলাকার রোগীদের জন্য জাতীয় বার্ন ইউনিট পর্যন্ত আসা বেশ কষ্টসাধ্য। তাদের অনেক পথ পাড়ি দিয়ে শহরে আসতে হয় যা চিকিৎসার সময় নষ্ট করে এবং রোগীর অবস্থা আরও খারাপ করে তোলে। প্রতিটি বিভাগে এবং সম্ভব হলে প্রতিটি জেলায় একটি করে পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট স্থাপন করা গেলে এই সমস্যা লাঘব হতে পারে।
একজন দগ্ধ রোগীর উন্নত চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘমেয়াদি। এর ফলে রোগীর পরিবার আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক সময় রোগীর পুনর্বাসনেও দীর্ঘ সময় ও অর্থের প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত বার্ন ইউনিট থাকলে এবং সেখানে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা গেলে রোগী সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা বাড়ে, যা পরিবার ও সমাজের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বার্ন ইউনিটের বাড়ানো:
বার্ন ইউনিট বৃদ্ধি পেলে এই ক্ষেত্রে গবেষণা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করা যাবে এবং আরও বেশি চিকিৎসক ও নার্সকে এই বিশেষায়িত চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে।
আমাদের দেশের বার্ন ইউনিট বা বার্ন হাসপাতাল বাড়ানোর ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন বার্ন ইউনিট স্থাপন করা, বর্তমানে যে বার্ন ইউনিটগুলো আছে সেগুলোর শয্যা সংখ্যা এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা, বার্ন চিকিৎসায় আরও বেশি সংখ্যক অভিজ্ঞ ডাক্তার, নার্স, ফিজিওথেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট এবং কাউন্সিলর তৈরি করা, বার্নের জন্য অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ড্রেসিং সামগ্রী নিশ্চিত করা, বার্ন চিকিৎসায় গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য তহবিল বরাদ্দ করা, অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ এবং পোড়া রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, উন্নত দেশগুলোর সাথে সহযোগিতা করে জ্ঞান, প্রয়োজনীয় উপকরণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা এর মধ্যে অন্যতম। যদিও সংখ্যা বাড়ানো বাদে এই বেশিরভাগ ব্যাপারগুলোই বার্ন ইউনিটে দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে।
বার্ন রোগীর সেবা:
নতুন বার্ন ইউনিট স্থাপনের পাশাপাশি দেশের সর্বস্তরের মানুষকে বার্ন রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। ১। প্রথমেই পোড়া ব্যক্তিকে আগুনের উৎস বা বিপদজনক স্থান থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে হবে।
২। পোড়া জায়গায় অন্তত ১০-২০ মিনিট ধরে ঠান্ডা (কিন্তু বরফ নয়) জল ঢালতে হবে এতে পোড়া গভীরতা কমবে এবং ব্যথা উপশম হবে।
৩। পোড়া অংশের আশেপাশে আঁটসাঁট পোশাক বা গয়না থাকলে তা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে কারণ পরবর্তীতে ফোলা বেশি হলে তা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৪। পোশাক চামড়ার সাথে লেগে যায়, তবে তা তোলার চেষ্টা না করাই ভালো।
৫। পোড়া অংশটি একটি পরিষ্কার, শুকনো কাপড় বা প্লাস্টিকের র্যাপ দিয়ে আলতো করে ঢেকে দিতে হবে এতে জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ হবে।
৬। দ্রুত পোড়া রোগীকে নিকটস্থ বার্ন ইউনিট বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
দগ্ধ রোগীর চিকিৎসা অত্যন্ত বিশেষায়িত ক্ষেত্র। এর জন্য শুধু ডাক্তার নয়, নার্স, ফিজিওথেরাপিস্ট, পুষ্টিবিদ, মনোবিজ্ঞানীসহ মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিমের প্রয়োজন হয়।
বার্ন রোগীর ক্ষেত্রে প্রচলিত ধারণা:
বার্ন রোগীর ক্ষেত্রে কিছু ভুল ধারণা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যা মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। এগুলো আমাদের সবার জানতে ও মানতে হবে।
১। পোড়া জায়গায় সরাসরি বরফ ব্যবহার করা উচিত নয়, এতে ত্বকের আরও ক্ষতি হতে পারে।
২। পোড়া জায়গায় টুথপেস্ট, তেল, ঘি, ডিম বা অন্য কোনো ঘরোয়া জিনিস ব্যবহার করা একটি প্রচলিত ভুল। এতে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে এবং ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে সমস্যা হয়।
৩। পোড়া স্থানে সৃষ্ট ফোস্কা ফাটানো উচিত নয় কারণ এতে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪। পোড়া পোশাক চামড়ার সাথে লেগে গেলে তা জোর করে টেনে খোলার চেষ্টা করা যাবে না।
৫। সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো মলম বা ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়।
এসব ভুল যেন সাধারণ জনগণ না করে তাই বার্ন প্রাথমিক চিকিৎসা বা বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য প্রশিক্ষিত জনবল গড়ে তোলা উচিত।
এর জন্য ডাক্তার, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বার্ন চিকিৎসায় বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চালু করা যেতে পারে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং সেমিনার আয়োজন করতে হবে।
বার্ন চিকিৎসায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ:
বার্ন চিকিৎসায় উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য দেশে ও বিদেশে ফেলোশিপ ও স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত দেশের বার্ন ইউনিটগুলোয় আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠিয়ে ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া যেতে পারে। মেডিকেল ও নার্সিং কলেজের কারিকুলামে বার্ন চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়গুলো আরও বিস্তারিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা এখন সময়ের দাবি।
এসবের পাশাপাশি বার্ন চিকিৎসায় গবেষণা এবং উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করতে হবে, যা নতুন জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে।
সর্বোপরি পোড়া রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। তাই মনোবিজ্ঞানী এবং কাউন্সিলরদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে প্রয়োজনে তাদের সাহায্য নিশিত করতে হবে। আমাদের দেশে বার্ন ইউনিট বৃদ্ধি করা শুধু চিকিৎসা সেবার উন্নতি নয়, এটি একটি মানবিক এবং সামাজিক প্রয়োজন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা এবং সমাজের বিত্তবানদেরও এই বিষয়ে এগিয়ে আসা উচিত।
ডা. কাকলী হালদার : এমবিবিএস, এমডি (মাইক্রোবায়োলজি), সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
