সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রাসঙ্গিকতা

সহিংসতা তথা অস্থিরতা সম্পন্ন দেশসমূহের মধ্যে পৃথিবীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শীর্ষে। এই দেশটিতে সাধারণত অপরাধকে নির্মূলের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অর্থাৎ শাস্তির মধ্য দিয়ে অপরাধ ও অপরাধীকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়। তদুপরি দেশটিতে সংঘাত সহিংসতা কমছে না।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১ লাখ লোকের মধ্যে প্রায় ৭০০ জন বিভিন্ন অপরাধে কারাবরণ করে থাকে এবং শিল্পোন্নত শীর্ষস্থানীয় দেশসমূহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এখনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়ে থাকে (Currie, 2008)। এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে যার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র কল্যাণকর রাষ্ট্রের দিকে ধাবিত না হয়ে কেবলমাত্র শাস্তি প্রদানের রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে (Wacquant, 2001)।
কাজেই, এমন একটি প্রশ্ন উত্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে; অপরাধ এবং অপরাধ প্রতিকারের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত? এই পরিস্থিতিতে অপরাধবিজ্ঞানীরা মনে করছেন; চলমান বিচার ব্যবস্থাপনা দিয়ে যেহেতু সহিংসতাকে প্রতিকার করা সম্ভব হচ্ছে না তাই ইনফরমাল বিচার ব্যবস্থা তথা সমাজের মাধ্যমে সৃষ্ট বিচার ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করার সময় এসেছে। সঙ্গত কারণেই অপরাধবিজ্ঞানের একটি নতুন সংযোজন হিসেবে Peacemaking Criminology আলোচনায় এসেছে।
...মানুষের রূপান্তর তখনই সম্ভব হবে যখন আমরা আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অবস্থানকে পরিবর্তনে উদ্যোগী হবো।
Peacemaking Criminology’র তাত্ত্বিকদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রিচার্ড কুইনি (Richard Quinney)। তিনি তার আলোচনায় নতুন এ বিষয়টির বেশকিছু দিক তুলে নিয়ে এসেছেন যার পরিপ্রেক্ষিতে সহিংসতাকে প্রতিহত করে শান্তি ও সুবিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
তিনি বলেছেন, অপরাধ মানুষকে ভোগায়, ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি করে থাকে; কাজেই ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারলেই অপরাধকে প্রতিহত করা সম্ভব হবে;
দ্বিতীয়ত, অপরাধ ও তার প্রেক্ষিতে ক্ষয়ক্ষতি শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চিরতরে বিনাশ করা সম্ভব হয়;
তৃতীয়ত, মানুষের রূপান্তরের মাধ্যমে শান্তি এবং সুবিচার নিশ্চিত করা যায়;
চতুর্থত, মানুষের রূপান্তর তখনই সম্ভব হবে যখন আমরা আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অবস্থানকে পরিবর্তনে উদ্যোগী হবো। এ তত্ত্বের বিশ্বাসীরা সাধারণত অপরাধের পরিবর্তে শান্তি নিশ্চিত করতে চাই। ফলশ্রুতিতে কমিউনিটি ভিত্তিক বিচার ব্যবস্থার ওপর বিশেষ করে বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি, মধ্যস্থতা, সমন্বয় সাধনসহ অন্যান্য শাস্তিসুলভ নয় এমন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রকে নিরাপদে রাখা যায় (DeKeseredy and Schwartz, 1996)।
প্রাসঙ্গিক আলোচনায় দেখা হয়, বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি তথা সামাজিক বিচার ব্যবস্থাপনার অন্যতম একটি উদাহরণ হচ্ছে Restorative Justice System। এ ব্যবস্থাপনা হচ্ছে একটি দর্শন যেখানে অপরাধ এবং সহিংসতাকে রাষ্ট্রীয় আইনের বিপরীতে চিন্তা করা হয়।
এতে বলা হয়, আমরা কীভাবে অপরাধ ও সহিংসতাকে নিয়ে চিন্তা করি; সমাজে সামষ্টিকভাবে আমরা কীভাবে আমাদের মূল্যায়ন করি; আমরা অপরাধকে কীভাবে মোকাবিলা করি সর্বোপরি একটা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরে একে কীভাবে পুনরুদ্ধার করা হয় তথা ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়।
অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় বিচার ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে সংঘটিত অপরাধকে সামাজিকভাবে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়, অপরাধকে কীভাবে মোকাবিলা করা হয় এবং অপরাধ ঘটার পর এর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কী ধরনের ব্যবস্থা গৃহীত হয়ে থাকে ইত্যাদি বিষয়া নিয়ে এ দর্শনটি মূলত কাজ করে থাকে।
টনি মার্শাল (Tony Marshall) বলেন, এ ব্যবস্থাপনাটি এমন একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয় যেখানে সব পক্ষের প্রতিনিধি সমস্যাটি সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে। বিশেষ করে অপরাধ সংঘটনের পর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি মোকাবিলা করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের সমস্যা বাস্তবায়নের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
এ ব্যবস্থাপনার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
প্রথমত, এ দর্শনে অপরাধকে ভিন্নভাবে দেখা হয় এবং অপরাধ মোকাবিলার কৌশলও ভিন্নতর হয়।
দ্বিতীয়ত, এ সামাজিক বিচার ব্যবস্থাপনায় সাধারণত অপরাধের ক্ষয়ক্ষতিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়; ক্ষয়ক্ষতিকে ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয় এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত না হতে পারে তার নিমিত্তে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
তৃতীয়ত, অপরাধীরা তথা অভিযুক্তরা তাদের কৃতকর্মের দায়ভার গ্রহণ করে থাকে এবং ক্ষতিপূরণের যাবতীয় দায়ভার গ্রহণ করে।
চতুর্থত, ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয় এবং অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীর মধ্যে সমন্বয় সাধন করে দেওয়া হয়ে থাকে।
পঞ্চমত, এ ব্যবস্থাপনার যাবতীয় বিষয় সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে যেখানে একটি পক্ষে থাকে কমিউনিটির প্রতিনিধি ও অন্যপক্ষে থাকে সরকারের প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন
প্রশ্ন উঠতে পারে প্রচলিত বিচারব্যবস্থার তুলনায় বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি কিংবা রেস্টোরেটিভ সিস্টেম কতটুকু যুক্তিযুক্ত? সামান্য তুলনামূলক আলোচনার মাধ্যমেই বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব। প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় আইনের ব্যত্যয় ও তার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষয়ক্ষতিকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
অন্যদিকে এ ব্যবস্থায় অপরাধের দ্বারা ভুক্তভোগী ও কমিউনিটির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয় বোঝানো হয়ে থাকে। অভিযুক্ত, ক্ষতিগ্রস্ত ও কমিউনিটির প্রচলিত বিচারব্যবস্থায় তেমন কিছু করার সুযোগ নেই, বিপরীতদিকে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে অভিযুক্ত, ক্ষতিগ্রস্ত ও কমিউনিটির প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালনের মাধ্যমেই বিচার নিষ্পত্তি করা হয়।
প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় কমিউনিটির ভূমিকা একেবারেই যৎসামান্য, বিপরীতদিকে রেস্টোরেটিভ জাস্টিস সিস্টেমে কমিউনিটি অপরাধের জন্য অপরাধীকে দায়ী করে, ক্ষতিগ্রস্তকে সহযোগিতা করে এবং অপরাধীর সংশোধনের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করে রাখে।
প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় ক্ষয়ক্ষতির পুনরুদ্ধার একেবারেই অপ্রতুল কিন্তু বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে তথা রেস্টোরেটিভ জাস্টিস সিস্টেমে ক্ষয়ক্ষতির পুনরুদ্ধার একটি স্বাভাবিক ঘটনা। প্রচলিত বিচারব্যবস্থার যাবতীয় ঘটনাবলি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করে থাকে কিন্তু এ দর্শনে রাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করলেও সবকিছু কমিউনিটির মধ্যস্থতায় হয়ে থাকে। প্রচলিত বিচারে অপরাধীকে দায়ী করা হয়, সামাজিকভাবে ট্রমার মধ্যে রাখা হয় এবং রাষ্ট্রীয় শাস্তি অর্পণ করা হয়।
অন্যদিকে রেস্টোরেটিভ জাস্টিসে সমস্যাকে চিহ্নিত করা হয়, অপরাধীকে মানবিক মর্যাদা নিয়ে বসবাসের উপযাগীকরণে কমিউনিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রচলিত বিচারে ক্ষতিপূরণ এবং ক্ষমার বিষয়টি উহ্য থাকে কিন্তু বিকল্প বিরোধ উপায়ে তথা সামাজিক ন্যায়বিচারে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে অনুতাপ এবং ক্ষমাকে গুরুত্ব প্রদান করা হয়ে থাকে। সর্বোপরি প্রচলিত বিচারে ভুক্তভোগী ও অপরাধীর মধ্যে লাভ-ক্ষতির হিসাব করা হয়ে থাকে কিন্তু সামাজিক ন্যায়বিচারে উভয় পক্ষই কোনো না কোনোভাবে লাভবান হয়ে থাকে।
রেস্টোরেটিভ জাস্টিস সিস্টেম একটি প্রক্রিয়া যার মধ্যে অভিযুক্ত, সংক্ষুব্ধ ও কমিউনিটির অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। প্রত্যেকটি এজেন্ট এ বিচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে যিনি ক্ষতিগ্রস্ত তার মতামত গ্রহণ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নানাবিধ প্রশ্ন করা হয়।
ভুক্তভোগীর অভিজ্ঞতা, অনুভূতি, দুশ্চিন্তা এবং ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোকপাত করা হয়। সর্বোপরি ক্ষয়ক্ষতিকে কীভাবে ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে পুষিয়ে দেওয়া যায় সে লক্ষ্যে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে উত্তর আদায় করা হয়।
বিপরীতদিকে; অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার কাজের জন্য দায় স্বীকার করার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে সার্বিক খোঁজখবর নেওয়া হয়। অপরাধীর ব্যবহারের মাধ্যমে তথা কাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। সমস্যার ব্যাপারে কীভাবে সমাধান পাওয়া যায় তার ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যক্তির অভিমত গ্রহণ করা হয়।
অন্যদিকে রেস্টোরেটিভ জাস্টিস সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে কমিউনিটির যথাযথ ভূমিকা পালন। বিশেষ করে অপরাধের ফলশ্রুতিতে কমিউনিটির প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কমিউনিটিকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে উত্তরণে তথা নিরাপদ পরিবেশ গঠনের লক্ষ্যে কমিউনিটিতে ঐক্যমত গঠিত হয়।
এমতাবস্থায় কমিউনিটি উক্ত এলাকাতে সুবিচার নিশ্চিতে ঐকান্তিকভাবে কাজ করে থাকে। সাধারণত অপরাধ সংঘটনের কারণ উদঘাটনের চেষ্টার পাশাপাশি অপরাধ নির্মূলে করণীয় নির্ধারণ করে থাকে। শেষ বিষয় হলো, ক্ষতিগ্রস্ত ভিকটিমকে কমিউনিটি সহযোগিতা করে থাকে এবং অপরাধীকে সংশোধনের জন্য কমিউনিটি সুযোগ সৃষ্টি করে থাকে।
অপরাধীকে মানবিক মর্যাদা নিয়ে বসবাসের উপযাগীকরণে কমিউনিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রচলিত বিচারে ক্ষতিপূরণ এবং ক্ষমার বিষয়টি উহ্য থাকে...
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এ ব্যবস্থাপনায় ভুক্তভোগী, অপরাধী ও কমিউনিটির দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা মুখোমুখি বসে ঘটনার প্রকৃত বিষয় উদঘাটনে চেষ্টা করে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক অংশীজন অপরাধ সংঘটনের প্রকৃত সত্য তুলে ধরার সুযোগ পায় এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের অনুভূতি, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার বিষয় উঠে আসে।
এই ধরনের আলোচনা প্রকৃতঅর্থে অপরাধকে বুঝতে সহায়তা করে থাকে এবং সংশোধনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সহযোগিতা করে থাকে। আলোচনার পরবর্তীতে অপরাধী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদানের নিমিত্তে শাস্তি নিশ্চিত করা হয়। ক্ষতিপূরণের আওতায় আর্থিক অনুদান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে বিভিন্ন উপায়ে সহযোগিতা প্রদান, সমাজের উন্নতিকল্পে ব্যবহৃত হওয়া অথবা তিন পক্ষের আলোচনায় উদ্ভূত যেকোনো ধরনের চুক্তির প্রতিপালন করে থাকে অপরাধী।
কাজেই বাংলাদেশে মামলার যে জট রয়েছে কিংবা প্রতিনিয়ত যে হারে মামলা রুজু হচ্ছে তার প্রতিকারে সামাজিকভাবে সৃষ্ট বিচারব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল হয়ে প্রচলিত বিচারব্যবস্থায় চাপ কমাতে হবে। এছাড়া কোনোভাবেই অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত কিংবা সুবিচার নিশ্চিত করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
পৃথিবীতে প্রায় শতাধিক দেশে রেস্টোরেটিভ জাস্টিস সিস্টেমের ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়। বাংলাদেশে এ ব্যবস্থা চালু করলে সমাজে সুবিচার নিশ্চিতের পাশাপাশি বিচারের মাধ্যমে অভিযুক্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত উভয়ের সুবিধার বিষয়টি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
মো. সাখাওয়াত হোসেন : সহকারী অধ্যাপক, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
