পর্তুগালে শঙ্কা কাটিয়ে জমে উঠেছে ওয়েব সামিট

পর্তুগিজ রাজধানী লিসবনে ১৩ নভেম্বর শুরু হয়েছে প্রযুক্তি সম্মেলন ওয়েব সামিট ২০২৩। এ সামিট শুরু হওয়ার তিন সপ্তাহ আগে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন আয়োজক সংস্থার সাবেক প্রধান নির্বাহী। তার জের ধরে গুগল, ফেসবুকসহ বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ইসরায়েলের অংশগ্রহণকারীরা সামিটে তাদের অংশগ্রহণ বাতিল করে।
পরে আয়োজন সফল করার লক্ষ্যে সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী প্যাডি কসগ্ৰেভ পদত্যাগ করেন। শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুপস্থিতি এ আয়োজনকে অনেকটা শঙ্কায় ফেলেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়েছে ওঠে সম্মেলন অঞ্চলটি। কুয়াশায় ঢাকা শহরে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই মূল চত্বরে প্রবেশের জন্য অংশগ্রহণকারীদের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। সময়ের সঙ্গে সেটি আরও দীর্ঘ হয়েছে।
অন্য আয়োজনের মতো বড় একটি মূল মঞ্চ এবং বিস্তৃত এলাকায় আলাদাভাবে ১৫টি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ১৫ জন বক্তা একসঙ্গে বক্তব্য প্রদান করেন এবং তাদের সামনের দর্শক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
১৫টি মঞ্চের আশপাশে স্টার্টআপগুলোর সরব উপস্থিতি এবং দর্শনার্থীদের উদ্দেশে তাদের ব্যবসায়িক মডেল উপস্থাপনের ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়া ব্যক্তিগত মিটিং এবং অন্য ইভেন্টগুলোতে সম্মেলনটির ইতোপূর্বের চিরাচরিত প্রতিচ্ছবির বহিঃপ্রকাশ হয়েছে।
অপরদিকে সম্মেলন শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং দেশব্যাপী একটি রাজনৈতিক সংকট এত বড় আয়োজনকে ঘিরে বাড়তি অস্থিরতা তৈরি করেছিল। তবে সব প্রতিবন্ধকতা পেছনে ফেলে তথ্যপ্রযুক্তির এই বিশাল আয়োজন তার আপন গতিতেই এগিয়ে চলছে। ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত এ আয়োজন চলবে।
এসএসএইচ