কুয়েত সফরে আসছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল

কুয়েত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (কেসিসিআই) আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল কুয়েত সফরে আসছেন। প্রতিনিধি দলটি কেসিসিআইর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
এ উপলক্ষ্যে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। এই সভাটি দূতাবাসের মাল্টিপারপাস হলরুমে অনুষ্ঠিত হবে।
দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগ্রহী প্রবাসী ব্যবসায়ীদের নাম, সিভিল আইডি নম্বর ও প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখপূর্বক [email protected] ইমেইলে নিবন্ধন করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, কুয়েতের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মঈন উদ্দিন সরকার সুমন দূতাবাসের এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, কুয়েত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আমন্ত্রণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল কুয়েত সফরে আসছে এটা যেমন বাংলাদেশের জন্য আনন্দের খবর, তেমনি প্রবাসীদের জন্যও গর্বের বিষয়। বাংলাদেশ দূতাবাস এ ক্ষেত্রে প্রশংসার দাবিদার।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে কুয়েতের বাজারে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের সম্প্রসারণ ঘটবে, কুয়েতে অবস্থানরত অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সুসম্পর্ক দৃঢ় হবে এবং স্থানীয় বাজারে বাংলাদেশি পণ্য অগ্রাধিকার পাবে।
সাংবাদিক মঈন সুমন বলেন, কুয়েত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং পরিদর্শনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ান। এর ফলে নতুন বাণিজ্যের দিগন্ত উন্মোচিত হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই সুযোগটি কাজে লাগাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বহু প্রসিদ্ধ ও সম্ভাবনাময় কোম্পানি রয়েছে। তারা চাইলে সরকারি পর্যায়ে কুয়েত চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে সমন্বয় করে পণ্যের প্রদর্শনী আয়োজন করতে পারে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে এবং বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি উৎসাহ বাড়বে।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আবার কিছু লোক ব্যবসায়ীর পরিচয়ে দ্রুত ধনী হওয়ার সহজ পথ খোঁজেন, দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক গড়তে চান না। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তাই এ ধরনের বৈঠক যেন শুধু কমিটি করা আর দাওয়াত খাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। বরং যেসব প্রকৃত ব্যবসায়ী পণ্য নির্ভর উদ্যোগে দেশের উপকারে আসবেন, তাদের প্রাধান্য দিতে হবে।
এই বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্য ও ব্যবসায়ীদের জন্য কুয়েতের বাজারে নতুন সুযোগ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। টেকসই ও পারস্পরিক লাভজনক বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিনিধি দলের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এমএন