পাকিস্তানকে চোখ রাঙাচ্ছে ইনিংস হার

সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান ২৯৭ ও ৮/১ (আবিদ ৭*; জেমিসন ১-১)
নিউজিল্যান্ড ৬৫৯/৬ ডিক্লে. (উইলিয়ামসন ২৩৮, নিকলস ১৫৭, মিচেল ১০২)
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলে ওভালে মঙ্গলবার বৃষ্টি হলো; প্রাকৃতিক আর মনুষ্যসৃষ্ট, দুটোরই। ক্যাচ উঠলো, ফসকে গেল! কেন উইলিয়ামসনের রেকর্ড হলো। তবে ঘটনাবহুল এক দিনের সবকিছুই গেল পাকিস্তানের বিপক্ষে। ফলে টানা দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস হার চোখরাঙানি দিচ্ছে পাকিস্তান শিবিরে।
এদিন ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন উইলিয়ামসন। তবে স্বভাব বিরুদ্ধভাবে তিনবার আউটের সুযোগও দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তান সেসব ঠিকঠাক ধরতে পারলে হয়তো দিনটা হতে পারতো তাদেরই, কিন্তু শেষমেশ তা আর হয়নি।
দুর্ভাগ্য সঙ্গী হয়েছে দলটির বৈকি! না হয় আগের দিন হেনরি নিকলস যখন উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুললেন, শাহিনশাহ আফ্রিদির সে বলটাই কেন নো-বল হবে? সেই জীবন পেয়ে মঙ্গলবার সারা দিনে নিকলস করলেন ১৫৭ রান। যে উইকেটের দেখা পাকিস্তান পেতে পারতো ৭৪ রানেই, সে উইকেটের জন্যে শাহিন শাহদের অপেক্ষা করতে হলো ৪৪০ রান পর্যন্ত।
নিকলসের ফেরার পরও স্বস্তি ফেরেনি পাকিস্তান শিবিরে। এরপর ড্যারিল মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে রানের পাহাড় গড়তে থাকেন উইলিয়ামসন। ক্যারিয়ারের চতুর্থ দ্বিশতক তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে যৌথভাবে দলটির সর্বোচ্চ (চারটি) ডাবল সেঞ্চুরিয়ান এখন তিনিই। অধিনায়ক হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরিও এখন তারই বেশি।
অধিনায়কের দ্বিশতকের পর মিচেলও টি-টোয়েন্টি মেজাজে তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত সেঞ্চুরিটি। তার তিন অঙ্কে পৌঁছার পরপরই ইনিংস ঘোষণা করেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
টেস্টের বাকি আরও দুই দিন। মাথার উপর ঝুলছে প্রায় সাড়ে তিনশো রানের লিড। এ অবস্থায় পাকিস্তানকে হতে হতো ইস্পাত-কঠিন। সেখানে শুরুর আট ওভারেই প্রথম উইকেট হারিয়ে বসেছে দলটি। শেষ কিছুদিনে দারুণ ছন্দে থাকা কাইল জ্যামিসন তুলে নিয়েছেন শান মাসুদকে। শেষ দুই দিনে আরও এক ইনিংস হার তাই ভালোভাবেই চোখ রাঙাচ্ছে সফরকারীদেরকে।
ইনিংস হার এড়াতেই এখনও পাকিস্তানের চাই ৩৫৪ রান!
এনইউ/এটি