ক্রীড়াবিদদের জন্য দ্রুত ভ্যাকসিন চাইছেন মন্ত্রী

বর্তমানে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন আসলে ক্রীড়াঙ্গনের মানুষদের জন্য দ্রুত সেটি চাইবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের বার্ষিক ক্রীড়া উৎসবের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের পর এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘৭ জানুয়ারির বৈঠকে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে থাকবে। সবার আগে জীবনের সুরক্ষা। ক্রীড়াবিদরা দেশের সম্পদ। আমাদের মন্ত্রনালয়ের তরফ থেকে অনুরোধ থাকবে ক্রীড়াবিদ, কোচ, সংগঠক এবং ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট সকলকে যেন দ্রুত ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে পারি।’
একইসঙ্গে মন্ত্রী জানান, ‘আমাদের মন্ত্রনালয়ের সচিব মহোদয় আজ মূখ্য সচিবের সাথে আমাদের প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করবেন। ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমাদের বৈঠক রয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়া বান্ধব। নানা ব্যস্ততার মধ্যেও বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকেন। ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর কাছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় অনেক প্রস্তাবনা নিয়ে হাজির হচ্ছে।
৭ জানুয়ারির বৈঠক সম্পর্কে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘ আমরা সামগ্রিক একটা পরিকল্পনা করেছি। সেখানে উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ের মাঠ, স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ক্রীড়াস্থানগুলোর সৌন্দর্য বর্ধন, বিকেএসপির আধুনিকায়তনের বিষয়ও রয়েছে।’ সামগ্রিক কত কোটি টাকার প্রস্তাবনা দেবে এটি অবশ্য পরিষ্কার করে বলেননি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে ২০ কোটি টাকা বিশেষ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়। এবার বাফুফে ৪০ কোটি টাকা চেয়েছে। এই বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে নব নির্বাচিত কমিটির সঙ্গে আমাদের একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ রয়েছে। সেই সাক্ষাতে এই বিষয়ে আলোচনা হবে। যেহেতু এখন অর্থ বছরের মাঝামাঝি ফলে কতটুকু বরাদ্দ করা সম্ভব ফুটবলের জন্য বলা মুশকিল।’
যদিও বাফুফে ২০ কোটি টাকা পেলেও এর মধ্যে ১০ কোটি টাকার সঠিক হিসাব দিতে পারেনি।
এজেড/এটি