মনসুরের জন্য এক মঞ্চে আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুই সম্পাদক

স্টেডিয়াম পাড়ায় অত্যন্ত পরিচিত মুখ ছিলেন মনসুর আলী। নিবেদিত প্রাণ এই সংগঠক মারা গেছেন সম্প্রতি। মনসুরের শুভাকাঙ্ক্ষীরা গতকাল সোমবার এক স্মরণসভার আয়োজন করে। সেই সভায় ক্রীড়াঙ্গনের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন দেশের দুই শীর্ষ রাজনৈতিক দলের ক্রীড়া সম্পাদকও।
দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দুই দলেরই নির্বাহী কমিটিতে ক্রীড়া সম্পাদক পদ রয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনের ব্যক্তিরাই সাধারণত এই দুই দলের এ পদ পেয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দেশের বর্ষীয়ান সংগঠক হারুনুর রশিদ। বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক গোলরক্ষক আমিনুল হক। বাংলাদেশের রাজনীতির সংস্কৃতিতে এক মঞ্চে বা এক অনুষ্ঠানে দুই দলের কাউকে দেখা যায়না সেভাবে। গতকাল হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে সংগঠক মনসুরের স্মরণ সভায় দুই দলের ক্রীড়া সম্পাদকই মনসুরকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন।
হারুনুর রশিদ ফুটবল ফেডারেশনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। মনসুরকে সব সময় একই রকম দেখেছেন, ‘মনসুরকে প্রথম যেদিন দেখেছি, মৃত্যুর আগেও সেই রকম দেখেছি। ক্রীড়াঙ্গনে এমন চরিত্র বড়ই বিরল।’ আমিনুল হকের পাইওনিয়ার থেকে ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরু। এরপর তো জাতীয় দলের অধিনায়কও ছিলেন। মনসুরকে দেখেছেন ক্যারিয়ার জুড়েই, ‘আমি খেলা শুরু করার আগে থেকে মনসুর ভাই সংগঠক। তিনি অত্যন্ত ফুটবলপ্রেমী মানুষ। তার চলে যাওয়া ফুটবলেরই ক্ষতি।’
তৃণমূলের সংগঠকদের সব সময় খোঁজ খবর রাখেন সিনিয়র সংগঠক ফজলুর রহমান বাবুল। তিনি মনসুরের মনসুর স্পোর্টিং ক্লাবকে টিকিয়ে রাখার অনুরোধ জানান। মনসুর স্পোর্টিংয়ের সভাপতি ও অন্যতম পৃষ্ঠপোষক শরীফুজ্জামান আলমের অঙ্গীকার, ‘আমি মোহামেডানের কর্মকর্তা ছিলাম। ফুটবল ফেডারেশনেও ছিলাম কিছু দায়িত্বে৷ কিন্তু ক্রীড়াঙ্গনে আমার পরিচয় মনসুরের মাধ্যমে। মনসুর স্পোর্টিংকে আমরা সবাই মিলে বাচিয়ে রাখব।’ মনসুর স্পোর্টিং ফুটবল, ক্রিকেট, হ্যান্ডবল, কাবাডি, রাগবি ও টেবিল টেনিস ৬টি ডিসিপ্লিনে অংশ নেয়।
মনসুরের স্মৃতিচারণে বক্তারা সম্মিলিতভাবে তাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়ারও দাবি জানান। মনসুরের স্মরণ সভা আয়োজনের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন তার বন্ধু কামাল বাবু, আব্দুল মজিদ কাজল, মহিদুর রহমান মিরাজসহ আরো অনেকে।
এজেড/এটি