‘চেষ্টার কমতি ছিল না’, দেশে ফিরে এশিয়া কাপ নিয়ে লিটন

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাসের যাত্রা আগেই শেষ হয়েছিল। এরপর ইনজুরির কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজে তার খেলা হচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশ দলকে আরব আমিরাতে রেখেই দেশে পা রেখেছেন লিটন। এরপর গণমাধ্যমের সামনে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে ব্যর্থ হওয়ায় হতাশা ঝরেছে তার কণ্ঠে।
লিটন ঢাকায় ফিরেছেন গতকাল (বুধবার) রাতে। চোটের কারণে আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজে থাকছেন না তিনি। বিমানবন্দরে নেমে এশিয়া কাপের প্রসঙ্গ উঠতেই নিজের ইনজুরি নিয়ে হতাশা জানিয়ে লিটন বলেন, ‘(শেষ দুই ম্যাচে) থাকতে পারলে ভালো হতোই। এশিয়া কাপে অবশ্যই ভারত-পাকিস্তান বিগ ম্যাচ। ছোট থেকেই দেখি এগুলা অনেক বড় নাম। বড় দলের সঙ্গে এশিয়া কাপের মঞ্চে খেলতে পারিনি। খেলতে পারলে খুব ভালো লাগত।’
ব্যাটারদের ব্যর্থতার কথাই পুনরায় সামনে আনলেন লিটন, ‘সমস্যা কিছু না। নির্দিষ্ট দিনে যেকোনো দলই খারাপ ক্রিকেট খেলতে পারে। আমার মনে হয় ওভারঅল আমরা এশিয়া কাপের আগে এবং এশিয়ার কাপের প্রথম ৩-৪ ম্যাচ খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ভারতের সঙ্গে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছিলাম। তাদের স্পিন কোয়ালিটি অনেক ভালো ছিল। আমরা ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারিনি। পাকিস্তানের সঙ্গে যেরকম টার্গেট ছিল, বিশ্বাস ছিল চেজ করব। ক্রিকেটে আসলে যেকোনো কিছুই হতে পারে। আমরা ব্যাটার হিসেবে এখানে ব্যর্থ হয়েছি।’

পরে নিজের ফর্ম ধরে রাখা নিয়ে বাংলাদেশের এই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা ক্রিকেটে ধারণা বা বিশ্বাস নেই। সামনে কাজে দেবে কি না নির্দিষ্ট দিনেই বোঝা যাবে। বড় মঞ্চে যেকোনো পারফরম্যান্সই আলাদা বুস্টআপ করে। এখন আগে রিকভারি করতে হবে। সামনে যে সিরিজ খেলব চ্যালেঞ্জিং হবে।’
ফেব্রুয়ারিতে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। তার আগে দলে বেশি পরিবর্তন আনার পক্ষে নন লিটন, ‘বড় মঞ্চে প্লেয়ারের সঙ্গে অভিজ্ঞতাও দরকার। একজন প্লেয়ার যখন নিয়মিত বড় মঞ্চে খেলবে, তার জন্য ডেলিভারি করাটা সহজ হবে। চেষ্টা থাকবে যারা খেলে তারা যেন সিনিয়র প্লেয়ার হয়। এমন না যে নিউকামার আসবে না। তবে যখন বড় মঞ্চে খেলছেন তখন পরিণত প্লেয়ার যেন দলে থাকে।’
আরও পড়ুন
এর আগে এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে প্রত্যাশিত জায়গায় নিতে না পারায় নিজের ফেসবুক পোস্টে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন লিটন। আরও একবার ভক্তদের উদ্দেশে তিনি বললেন, ‘আমরা জানি আমরা সবসময় মুখে হাসি ফোটাতে পারিনি। তবে চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি, কষ্ট করেছি। আশা করছি সামনে এটা পূরণ করে দিতে পারব।’
এসএইচ/এএইচএস