ডেথ ওভারে মুস্তাফিজদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং, দেড়শ রানও করতে পারল না উইন্ডিজ

বোলিংয়ে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট নিয়ে ক্যারবিয়ানদের চাপে ফেলেছিল। তবে কাউন্টার অ্যাটাকে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। আলিক আথানজে ও শাই হোপের ফিফটিতে বড় রানের ভিত পায় উইন্ডিজ। কিন্তু এই দুই ব্যাটার ফেরার পরই ভেঙে পড়ে তাদের মিডল অর্ডার। ডেথ ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন হোপ।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ইনিংস ওপেন করেন তানজিম হাসান সাকিব। এই পেসারের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন ব্রেন্ডন কিং। কিন্তু সহজ সেই ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন লিটন দাস। অধিনায়কের এই ভুলের জন্য অবশ্য খুব বেশি মাশুল দিতে হয়নি দলকে। কারণ পরের ওভারেই কিংকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলটি অফ-মিডল স্টাম্পের ওপর ফুলার লেংথে করেছিলেন তাসকিন। সেখানে মিড অফের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে ভালো টাইমিং করতে পারেননি কিং। মিড অফে দাঁড়িয়ে থাকা তাওহিদ হৃদয় সহজেই বল তালুবন্দি করেন।
১ রানে প্রথম উইকেট হারানো ক্যারবিয়ানদের হাল ধরেন আলিক আথানজে ও শাই হোপ। বিশেষ করে আথানজে দারুণ ব্যাটিং করেন। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৬ রান তুলা উইন্ডিজকে শেকল ভেঙে এগিয়ে নেন এই তরুণ ওপেনার। তৃতীয় ওভারে চার ও ছক্কায় ১১ রান তোলেন।
পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। ৬ ওভার শেষে এক উইকেট হারিয়ে ৫০ রান তোলে ক্যারিবিয়ানরা। পাওয়ার প্লে শেষেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন তারা। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ফিফটির পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
৩৩ বলে ৫২ রান করা আথানজেকে ফিরিয়ে ১০৫ রানের জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। এরপরই ধস নামে তাদের ব্যাটিং অর্ডারে। ৫৫ রান করে ফেরেন শাই হোপ। এ ছাড়া শারেফানে রাদারফোর্ড, রভম্যান পাওয়েল কিংবা জেসন হোল্ডারদের কেউই রান পাননি। ফলে শক্ত ভিত পেলেও বড় রান করতে পারেনি উন্ডিজ।
বাংলাদেশের হয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন মুস্তাফিজ। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রিশাদ ও নাসুম। এক উইকেট পেয়েছেন তাসকিন।
এইচজেএস