ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের গেস্টরুম নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

রোববার (১৩ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব। সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।

সমাবেশে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ নিরাপদ পরিবেশ বিরাজ করছে না। সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান আর পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই। ছাত্রদলের নেতৃত্বে আগামীতে সারা দেশের ছাত্রসমাজ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।

ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, মুজিব হলে শিক্ষার্থীকে নির্যাতন এবং হল ছাড়া করেছে ছাত্রলীগ। প্রতিটি হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ প্রতিনিয়ত অত্যাচার ও নির্যাতন চালাচ্ছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরবতা ছাত্রলীগকে আরও বেপরোয়া হতে উৎসাহিত করছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

সমাবেশে আরও উপস্থিতি ছিলেন— কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মামুন খান, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, যুগ্ম-সম্পাদক তানজিল হাসান, মারুফ এলাহি রনি, শ্যামল মালুম, মাহাবুব মিয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, ইসামন্তাজ ইজাজ শাহ, সুলতানা জেসমিন জুই, ঢাবি শাখার যুগ্ম-আহবায়ক আকতার হোসেন, নাছির উদ্দিন নাছির, খোরশেদ আলম সোহেল, এইচ এম আবু জাফরসহ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, বিভিন্ন হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) গভীর রাতে বঙ্গবন্ধু হলের ২০১ (ক) নম্বর কক্ষে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু তালিবকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ উঠে একই হলের ২০১৮-১৯ সেশনের চার ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। তারা হলেন— সমাজকল্যাণ বিভাগের শেখ শান্ত আলম, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ইমদাদুল হক বাঁধন, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শাহাবুদ্দিন ইসলাম বিজয় ও আইন বিভাগের নাহিদুল ইসলাম ফাগুন।

এইচআর/এসএসএইচ