রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, রেল ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিল বিএনপি। শুধু তাই না, পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছিল তারা। বিএনপি-জামায়াত রেলে নতুন বিনিয়োগ তো দূরে থাক উল্টো অনেক রেলপথ উঠিয়ে দিয়েছিল। 

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া দেশে টেকসই উন্নয়ন হতে পারে না। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথ, আকাশপথ ও জলপথে বিনিয়োগ করার ব্যবস্থা করেছেন। তার চেষ্টায় যোগাযোগ ব্যবস্থা এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন রেলপথ সৃষ্টি হচ্ছে। ভারতের সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগ হচ্ছে। সরাসরি ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার জন্য মিতালী এক্সপ্রেস চালু করা হয়েছে। সমস্ত রেল ব্যবস্থাকে ব্রডগেজে রুপান্তর করছি। ডিসেম্বরের মধ্যে চিটাগাং-কক্সবাজার রেললাইন চালু করব। এ ছাড়া খুলনা থেকে মংলা এই ডিসেম্বরের মধ্যেই রেলপথ উদ্বোধন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বিভক্ত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগকে এক করেছেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ থেকে শুরু করে সারাদেশে এই চেষ্টা করা হয়েছে। এর কারণ একটাই, আওয়ামী লীগকে বিভক্ত করে দেশকে উন্নয়ন থেকে বিরত রাখা। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্ভব হতো না। আজকের বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীরা থেমে নেই। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক নুরুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মনজুরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, এ দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন। এ দেশের জন্য তিনি নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। আমাদের উচিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে রেখে দেশকে ভালোবাসা, দেশের জন্য কাজ করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ্, ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন প্রমুখ।

মো. আলকামা/আরআই