বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শারীরিক শিক্ষা বিভাগের আয়োজনে আন্তঃবিভাগ ভলিবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক ছাত্রলীগ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে মার্কেটিং ও ইতিহাস বিভাগের মধ্যে ভলিবল খেলায় দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় কয়েকজন দর্শক গ্যালারি থেকে মাঠে চলে আসলে ছাত্রলীগ নেতা সুব্রত ঘোষ তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। তার সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা মামুন ও কর্মী মেজবাহুল সরকার জয়ের হাতাহাতি হয়। 

এরপর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এ ঘটনার রেশ ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নিচে বেরোবি শাখা ছাত্রলীগে পদ প্রত্যাশী সুব্রত ও নোমান গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। এতে নোমান গ্রুপের মেজবাহুল সরকার জয় আহত হন। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি পরিস্থিতি শান্ত করে।

ছাত্রলীগ নেতা সুব্রত ঘোষ বলেন, আমি হলে আসার পর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করার জন্য আসে জয়। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা প্রতিরোধ করে। 

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইজার আলী বলেন, ভলিবল খেলাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি ও মারামারি হলে একজন ছাত্র আহত হন। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বেরোবি পুলিশ ক্যাম্প ছাড়াও অতিরিক্ত ফোর্স আনা হয়েছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম বলেন, ভলিবল খেলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তারই সূত্র ধরে মারামারি হলে একজন ছাত্র আহত হন। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আমরা তদন্ত করব। এতে দোষী যেই হোক না কেন তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

আরএআর