ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ছাত্রলীগের অবস্থানের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে অনুষ্ঠিত হওয়া শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রভাব পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক।

মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল ৯টা থেকে সিনেটে শুরু হয়েছে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন। একই সময় ক্যাম্পাসের প্রত্যেক মোড়ে বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন এবং মিছিল স্লোগান দিতে থাকেন। ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে শহীদ মিনার এলাকায় ছাত্রদল-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান। এতে সিনেটে অবস্থান করা শিক্ষকরাসহ সেখানে অবস্থান করা অন্যদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও নীল দলের প্রার্থী অধ্যাপক ড. ফিরোজ জামান বলেন, এই পরিস্থিতির কারণে শিক্ষকরা আসতে ব্যাঘাত ঘটছে। তিনি প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, সংঘর্ষের কারণে শিক্ষকদের নির্বাচনে ভোট দিতে আসায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

নাম প্ৰকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ক্যাম্পাসের বিরাজমান পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। শিক্ষকরা এখনো অনেকে ভোট দিতে আসেননি। প্রশাসনের পদক্ষেপ জরুরি।

তবে সিনেট নির্বাচনে প্রভাব পড়ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমি যতটুকু জানি দুটি সংগঠন ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছে, তবে এর কারণে সিনেট নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়ছে না।

সকাল নয়টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় চৌদ্দশ সত্তর জন শিক্ষক এই নির্বাচনে ভোট দেবেন। দুপুর দুইটায় ভোটগ্রহণ শেষ হবে। নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী নীল দলের ৩৫ জন এবং বিএনপিপন্থী সাদা দলের ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এইচআর/জেডএস