‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সম্প্রতি তথ্য মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়ন। ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি।

মানববন্ধনে আদিবাসী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাখী মং বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৬ (২) ধারায় উল্লেখিত আছে ‘এ দেশে বসবাসকারী সব আদিবাসী বাঙালি বলিয়া বিবেচিত হবে।’ এ ধারা অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। বাংলাদেশে বিভিন্ন আদিবাসী জাতিসত্ত্বা বসবাস করেন। তাদের সাংবিধানিক অধিকার চরমভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। আদিবাসীদের সাংবিধানিক অধিকার স্বীকৃত হতে হবে। সাধারণভাবে সমতলের আদিবাসীরা দরিদ্র, ভূমিহীন। কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানের অধিকার থেকেও তারা বঞ্চিত। আদিবাসী নারীরা ক্রমাগতভাবে সহিংসতা, ধর্ষণসহ নানা ধরনের অত্যাচার, শোষণ ও বৈষম্যের সম্মুখীন। তাদের সুরক্ষায় সরকারকে কমিশন গঠন করতে হবে।

আদিবাসী ইউনিয়নের উপদেষ্টা আসলাম খান বলেন, মধুপুর, শেরপুর, মহাদেবপুর, দিনাজপুর, নওগা, সিরাজগঞ্জসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তা বন্ধের দাবি করছি। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে দাবি করছি, অবিলম্বের পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করুন। 

এ সময় তারা বেশকিছু দাবি পেশ করেন। তাদের দাবিগুলো হলো আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করা, আদিবাসীদের ভূমি, ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া, সমতলের আদিবাসীদের জন্য ভূমি কমিশন গঠন করা, উচ্ছেদকৃত আদিবাসীদের আদিভিটায় পুনর্বাসিত করা, ১০০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি', ভিজিএফ, কাবিখাতে আদিবাসীদের অন্তর্ভুক্তিসহ তাদের জন্য স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিচুক্তি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা ইত্যাদি।

এইচআর/এমএ