প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতাকর্মীদের সমাবেশ

কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টায় ঢাবির রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিলটি শুরু হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যে ফিরে এসে মিছিলটি শেষ হয়।

মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। সমাবেশ থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী জয়।

সমাবেশে আল কাদেরী জয় বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, কিভাবে এ সরকার লেখক মুশতাককে হত্যা করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে একের পর এক লেখক কার্টুনিস্ট সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের যুক্তিতে সরকারের ভয় হয়। তাই তারা হত্যা-গ্রেপ্তারে মেতে আছে। এ হত্যার মধ্যদিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে, তারা ক্ষমতা থাকার অধিকার রাখে না। আজকের এ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি। আজকে ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে বলতে চাই, যত হত্যা গুম হবে, তত সরকারের সময় ঘনিয়ে আসবে। আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় আমরা অবস্থান কর্মসূচি করব।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, ‘আজ আমরা লেখক মুশতাকের রক্ত ছুঁয়ে শপথ করে বলতে চাই, এখানে আইয়ুব সরকারের যেভাবে পতন হয়েছে, এরশাদ সরকারের যেভাবে পতন হয়েছে, সেভাবে আওয়ামী লীগ সরকারেরও পতন হবে।’

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইকবাল কবির বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, রাষ্ট্র এ লেখককে হত্যা করেছে। তার দোষ ছিল, তিনি যৌক্তিক বিষয়ে লেখালেখি করতেন। আমরা এ লাশের শপথ করে বলছি এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকার দায়ী।’

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাশিমপুর কারাগারে মারা যান লেখক মুশতাক আহমেদ। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

আরএইচ