ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের শত বছরের অচলায়তন ভেঙে দেওয়ার কৃতিত্ব শিক্ষার্থীদের দিলেন ‘প্রশাসনিক জটিলতায় সৃষ্ট নানা রকম হয়রানি বন্ধ ও ৮ দফা দাবি’- তে আমরণ অনশন করা ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে এমনটি জানান হাসনাত। অনশন ভাঙার পর বর্তমানে তিনি এখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শত বছর ধরে চলে আসা রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের দুর্বৃত্তায়নের শৃঙ্খল থেকে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যেক শিক্ষার্থী মুক্তি পেয়েছেন। ভিসি স্যার ঘোষণা দিয়েছেন, আর কোনো শিক্ষার্থীকে দাপ্তরিক কাজে রেজিস্টার বিল্ডিংয়ে যেতে হবে না এবং কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আশা করি ভিসি স্যারের ঘোষণা আজ থেকেই কার্যকর হবে। আগামীতে একজন শিক্ষার্থীও যদি হয়রানির শিকার হন, তাহলে আমি আবারো আন্দোলনে নামব।

হাসনাত বলেন, এ বিজয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর, যাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য শত বছরের অচলায়তন নিরসন হয়েছে। সাংবাদিক বন্ধুরাসহ যারা আমার পাশে থেকে সমর্থন জানিয়েছেন এবং অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। ভিসি স্যারকেও ধন্যবাদ একটু দেরিতে হলেও আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য।

দীর্ঘ ২৭ ঘণ্টা অনশনের পর আজ দুপুর ২টা ১০ মিনিটে পানি পান করিয়ে হাসনাতের অনশন ভাঙান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীসহ সহকারী প্রক্টর ও বিভাগের শিক্ষকরা।

তখন উপাচার্য বলেন, আমি ঘোষণা দিচ্ছি, এ মুহূর্ত থেকে কোনো শিক্ষার্থীকে দাপ্তরিক কাজের জন্য আর রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে যেতে হবে না। সব কাজ হল ও বিভাগে সম্পন্ন হবে। সেখানে আমাদের লোকবল দেওয়া আছে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

এইচআর/আরএইচ