ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাত শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড মো. আখতারুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন। 

স্থায়ী বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, ফজলুল হক মুসলিম হলের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাকসুদুর রহমান, কবি জসিম উদ্দিন হলের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিজন আহমেদ, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার তামান্না, কবি জসিম উদ্দিন হলের ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহ মেহেদী হাসান, স্যার এ এফ রহমান হলের ইতিহাস বিভাগের ২০১৫-১৬  শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল ইসলাম, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের দর্শন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম, অমর একুশে হলের ভূগােল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহেদ আহমেদ।

এছাড়া সভায় পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধ জড়িত থাকার কারণে সাত কলেজের পাঁচজন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজগুলোর অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ১৫১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। 

তা ছাড়া গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের সভায় পরীক্ষার খাতায় অসঙ্গতিপূর্ণ নম্বর দেওয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তিন শিক্ষককে দেওয়া শাস্তি বহাল রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

শাস্তি পাওয়া তিন শিক্ষক হলেন- অধ্যাপক ড. এ এস এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ড. গোলাম আজম ও সহকারী অধ্যাপক মাইনউদ্দীন মোল্লা।  

সোমবার (১ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এইচআর/এসএস