ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলে আল্টিমেটাম
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলে ও মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনার বিচারের দাবিতে শাহবাগে মানববন্ধন/ ছবি: ঢাকা পোস্ট
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, এ আইনে গ্রেফতারদের মুক্তি এবং কারাগারে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের ‘হত্যার’ অভিযোগ এনে তার বিচার নিশ্চিতের দাবিতে সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ।
শুক্রবার (৫ মার্চ) বিকেল ৩টায় ঢাকার শাহবাগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও আইনে আটক হওয়াদের মুক্তির জন্য সরকারকে রোববার (৭ মার্চ) পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কড়া সমালোচনা করেন। তারা বলেন, এই আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নয়, এটি লুটেরা নিরাপত্তা আইন। কারণ এই আইনে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী ও দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। এ জন্য অনতিবিলম্বে এই কালো আইন বাতিল করতে হবে।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক নাসিরুদ্দিন প্রিন্স, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
মাসুদ রানা বলেন, আমরা এমন এক অবস্থায় বসবাস করছি, যেখানে কারও বাকস্বাধীনতা নেই, প্রতিবাদ করার অধিকার নেই। মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়ার সর্বোচ্চ আয়োজন চলছে। জামিন পরবর্তী কার্টুনিস্ট কিশোরের সাক্ষাৎকারে যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরতা থেকেও ভয়াবহ। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা এমন একটি দেশ তৈরি করেছি, যেখানে একজন লেখককে শুধু সমালোচনা করার জন্য মৃত্যুবরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মাসেতুর খবর বারবার প্রচার করতে পারবেন, কিন্তু প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে লুটপাট হয়ে যায় যা দিয়ে কয়েকটা পদ্মাসেতু তৈরি করা যাবে সেটি নিয়ে কথা বলা যাবে বা। করোনাকালে এক হাজার ৩৪২ জন কীভাবে কোটিপতি হলো তা নিয়ে কথা বলা যাবে না। আওয়ামী লীগ যে বয়ান দেবে সেটিই আমাদের মেনে চলতে হবে। এমনটি হতে পারে না। আমাদের তারুণ্যকে আপনারা দাবিয়ে রাখতে পারবেন না। গ্রেফতার হামলা-মামলার ফলে আমাদের আন্দোলন দিনে দিনে আরও ভারি হচ্ছে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল টিএসসিতে এসে শেষ হয়।
এফআর