উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ। ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, শিক্ষামন্ত্রী ও ইউজিসিকে জড়িয়ে কলিমউল্লাহর দম্ভোক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে তার অপসারণ দাবি করেন  শিক্ষক-কর্মকর্তারা।

শুক্রবার (৫ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪ মার্চ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর অসত্য বক্তব্য ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে তার অপসারণের দাবি জানানো হয়।

অধিকার সুরক্ষা পরিষদের বিবৃতি

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কলিমউল্লাহ ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ‘তিনি যা করেছেন তা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী করেছেন।’ প্রধানমন্ত্রী তো তাকে এসব প্রকল্পে দুর্নীত-অনিয়ম করতে বলেননি, উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা পরিবর্তন করে অর্থ হরিলুট করতে বলেননি। সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য রাষ্ট্রপতি তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। অথচ তিনি যোগদানের পর থেকে চলতি চছরের ফেরুয়ারি পর্যন্ত ১৩৫২ দিনের মধ্যে ১১১৫ দিনই অনুপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উপাচার্য নিজের দুর্নীতির দায় অন্যের ঘাড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি নিজের দুর্নীতির উত্তর না দিয়ে পূর্ববতী উপাচার্যরা কী করেছেন, তা উল্লেখ করে নিজের দায় এড়িয়ে গেছেন। তিনি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।

উপাচার্য কলিমউল্লাহ একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে চলেছেন উল্লেখ করে বলা হয়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তদন্তে ‘শেখ হাসিনা হল’সহ বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের তিনটি অবকাঠামো নির্মাণে উপাচার্যের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। এজন্য কলিমউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বে থাকার নৈতিক মর্যাদা হারিয়েছেন।

উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর কুশপুতুল দাহ

এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) উপাচার্যের করা সংবাদ সম্মেলনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী, ইউজিসি ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

এছাড়া একই অভিযোগ এনে উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কুশপুতুল দাহ করেন শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

শিপন তালুকদার/এমএসআর