ঢাবির পাঁচ রোভারের ১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) রোভার স্কাউট গ্রুপের ৫ সদস্যের দুটি দল পাঁচদিনে ১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণের উদ্দেশ্যে ৬ মার্চ নরসিংদী থেকে যাত্রা শুরু করেছে। তারা ভৈরব, মাধবপুর, শায়েস্তাগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল পেরিয়ে ১০ মার্চ মৌলভীবাজার পৌঁছাবে।

এ পরিভ্রমণের প্রথম দলে রয়েছেন মো. মাহবুবুর রহমান (দলনেতা), শামিম শরীফ এবং সাইফুল ইসলাম তপু। দ্বিতীয় দলে রয়েছেন ইশতিয়াক আহমেদ (দলনেতা) এবং ওসমান গনি। প্রত্যেক দল বিভিন্ন প্রচারণামূলক স্লোগান বহন করছে। যেগুলোতে তুলে ধরা হয়েছে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের মূল্যবান চিন্তাগুলো। স্লোগানগুলো হলো-‘বই পড়ুন দেশ গড়ুন’, ‘ট্রাফিক আইন মেনে চলুন’, ‘দুর্নীতিকে না বলুন’, ‘মাদককে না বলুন’ এবং ‘গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই’।

পরিভ্রমণকারী প্রথম দলের দলনেতা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, রোভাররা যেকোনো নতুন পরিস্থিতিতে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে। পরিভ্রমণের মাধ্যমে এটি হাতে-কলমে শেখা যায়।

অপর দলের দলনেতা ইশতিয়াক আহমেদ জানান, স্কাউটিংয়ের সবচেয়ে ঝুঁকি এবং আনন্দদায়ক অংশ পরিভ্রমণ। আমরা সাধারণত, পাহাড়ি এলাকা, ঐতিহাসিক স্থান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের এলাকাকেই বেছে নেই। আমরা তাদের জীবনাচার সম্পর্কে ধারণা অর্জন করি। এবার আমরা যে রুটটি বেছে নিয়েছি সেটি ঐতিহাসিক স্থান, পাহাড়ি এলাকা, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সমন্বয়।

পরিভ্রমণকারী সাইফুল ইসলাম তপু বলেন, রোভার প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকল পারদর্শিতা ব্যাজ অর্জন করা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং। তবুও একজন রোভার হিসেবে খুবই আনন্দিত যে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আমরা রোভার প্রোগ্রামের সর্বশেষ ব্যাজের (পরিভ্রমণ ব্যাজ) উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছি।

আরেক সদস্য শামিম শরীফ বলেন, পরিভ্রমণকারী ব্যাজটি অর্জন কষ্টদায়ক হলেও শিক্ষণীয় এবং আনন্দদায়ক। বরাবরের মতো চ্যালেঞ্জিং কাজ আমাদের প্রিয়। আশা করি সুন্দরভাবে এটি শেষ করতে পারব।

যাত্রাপথে দলগুলো ভৈরব, মাধবপুর, শায়েস্তাগঞ্জ এবং শ্রীমঙ্গলে রাত কাটিয়ে ১০ মার্চ মৌলভীবাজার পৌঁছে পরিভ্রমণ শেষ করবে।

রোভার স্কাউটিংয়ের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘প্রেসিডেন্ট রোভার স্কাউট’ অ্যাওয়ার্ড অর্জনের জন্য একজন রোভারকে ছয়টি পারদর্শিতা ব্যাজ অর্জন করতে হয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম পরিভ্রমণকারী ব্যাজ। যার জন্য একজন রোভারকে পায়ে হেঁটে পাঁচদিনে ১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ করতে হয়। এছাড়া সাইকেলযোগে ৫০০ কিলোমিটার কিংবা নৌকায় দাঁড় বেয়ে ২৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ করেও ব্যাজটি অর্জন করা যায়।

এইচআর/এমএইচএস