সম্প্রতি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) প্রাঙ্গণে বেপরোয়া মাদকসেবনের বিরুদ্ধে কথা বলায় হেনস্থার শিকার হন চুয়েট সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া একই ঘটনায় চুয়েট সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদককে মারধর করা হয়। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জবিসাস)।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে জবি সাংবাদিক সমিতি অনতিবিলম্বে চুয়েট ছাত্রলীগের নামধারী মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

জানা গেছে, চুয়েটের হলগুলোতে মাদকসেবীরা নিয়মিত মাদকসেবন করে আসছেন। চট্টগ্রাম শহরগামী বাসগুলোতে জনসম্মুখে মাদকসেবন তাদের নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বারবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে লেখালেখি করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) চুয়েট সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম রব্বানী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বেপরোয়া মাদকসেবনের বিরুদ্ধে ফেইবুকে লেখালেখি করেন। তার লেখায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আইদিদের নেতৃত্বে প্রায় ১০ জনের একটি দল বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সমিতির সভাপতি জিওন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সায়েদ চৌধুরীকে আটকে রেখে গালাগালি ও হেনস্থা করেন। এ সময় সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম রব্বানীকে মারধর করা হয়। এমনকি ভবিষ্যতে মাদকের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমিতির কেউ লেখালেখি করলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। 

এর নিন্দা ও প্রতিবাদে বিবৃতি জবি সাংবাদিক সমিতি বলেছে, এ ঘটনার মাধ্যমে ছাত্রলীগ প্রমাণ করেছে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোকে মাদকের রাজ্যে পরিণত করেছে। মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাদের গাত্রদাহ নতুন কিছু নয়। এই মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে চুয়েট প্রশাসনকে আমরা অনুরোধ করছি। 

এমএল/কেএ