পিঠাপুলি উৎসবে মেতেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। উৎসবে ছিল বাহারি পিঠার স্টল, নাচ-গান, আনন্দ-উল্লাস, আবৃত্তিসহ সাংস্কৃতিক আয়োজনের আসর।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় ক্যাম্পাস বাউলিয়ানার আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহর কলা ভবনের সামনের আম বাগানে জমে উঠে এ পিঠাপুলি উৎসব। এ উৎসবের সহযোগিতায় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল হতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহর একাডেমিক ভবনের সামনে পিঠাপুলি উৎসবে শিক্ষার্থীদের ভিড় জমে ওঠে। উৎসবে বিভিন্ন রকম পিঠার সমাহার নিয়ে বসে ১২টি স্টল। স্টলগুলোর মধ্যে রয়েছে মৌচাক পিঠা উৎসব, মিঠাই, পাঠশালা পিঠাঘর, আদি পিঠাশৈলী, রসমঞ্জরী, পোষালি, পিঠাজলি, পিঠাবাহার, পিঠার রসসহ অন্যান্য।

বাহারি নামের পিঠাগুলো খেতে শিক্ষার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পিঠাগুলোর মধ্যে ছিল- দুধপুলি পিঠা, চন্দ্রপুলি, সুজির কাটলি বরফি, জামাই পিঠা, পাটিসাপটা, গোলাপ ফুল পিঠা, লবঙ্গ পিঠা, শামুল পিঠা, রুপালি পিঠা, বুটের বরফি, মোহন ভোগ, ডিম সুন্দরী পিঠা, মাছের পিঠা, গোলাপ, আরশিনগর, ঝাল-মিষ্টি, হৃদয়হরণ পিঠা, শীম ফুল পিঠা, সূর্যমুখী, পাকোয়ান পিঠা, শামুক পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, রসে ভরা সবজি পিঠা, রসমলাই খিরপুলিসহ প্রায় ১০০ পদের পিঠা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে বিক্রি করা হয়েছে এসব পিঠা।

পিঠাপুলি উৎসবে আসা লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিমা খুশি বলেন, এ শীতে মায়ের হাতের পিঠা খুব মিস করছি। ক্যাম্পাসে বসে শীতের পিঠাপুলি উৎসবের আয়োজন করার জন্য ক্যাম্পাস বাউলিয়ানাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পিঠার মান খুব ভালো। বিভিন্ন জাতের পিঠা খেয়েছি।

পিঠা উৎসবে পিঠা খেতে মির্জাপুর থেকে এসেছেন বীথি আক্তার। তিনি বলেন, শোনা মাত্রই পিঠা খেতে উৎসবে চলে এসেছি। কয়েক রকম পিঠা খেয়েছি। খুবই সুস্বাদু পিঠা এবং দামও তুলনামূলক কম।

পিঠা উৎসবের আয়োজনে থাকা এক শিক্ষার্থী বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধারণ এবং সম্প্রীতির মেলবন্ধনকে অটুট রাখতে আমাদের এ আয়োজন। এই ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও করা হবে।

জুবায়ের জিসান/এমজেইউ