শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা, শিক্ষক-ছাত্র বিনিময় এবং গবেষণাধর্মী প্রকাশনায় অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ভার্চুয়ালি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে সমঝোতা স্মারকটি সই হয়।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকে সই করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আক।

পররাষ্ট্র সচিব তার বক্তব্যে এ উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতা সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্ক আরও সুসংহত ও গতিশীল হবে।

এ ধরনের উদ্যোগ ও পদক্ষেপের ফল অত্যন্ত ইতিবাচক ও সুদূরপ্রসারী উল্লেখ করে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ভবিষ্যতে এটি দুদেশের মধ্যকার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সহযোগিতাকে আরও বেগবান করতে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকের ভূমিকা পালন করবে।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, আংকারা ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ইস্তাম্বুলের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড.  মাহমুত আক ও ঢাবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।

উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, চতুর্দশ শতাব্দী থেকে আমাদের দুই অঞ্চলের জনগণ ঐতিহাসিক সম্পর্কে আবদ্ধ। তুরস্কের কামাল আতাতুর্কের আদর্শ, দর্শন ও নীতি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণকে অনুপ্রাণিত ও উজ্জ্বীবিত করেছে।

ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক মাহমুত বলেন, ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। এ সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে দু’দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।

এ সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশ- তুরস্ক সম্পর্ককে আরও গভীর ও শক্তিশালী করণে ভূমিকা রাখবে আশা প্রকাশ করেন কনসাল জেনারেল।

এনআই/কেএ