ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ক্যান্টিনে খাবারে মাছি পড়াকে কেন্দ্র করে এক কর্মচারীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন একই হলের এক ছাত্রলীগ নেতা।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে হলের ক্যান্টিনে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত ওই কর্মচারীর নাম কাওসার আহমেদ তানিক। তিনি তার বাবার (জাহাঙ্গীর) ক্যান্টিনের ক্যাশে বসেছিলেন। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম শোয়াইব আহমেদ খান প্রান্ত। তিনি শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের খাবারে তরকারিতে মাছি দেখতে পেলে ক্যান্টিনে ক্যাশে গিয়ে খাবারের বাটি ছুঁড়ে মারেন প্রান্ত। এসময় ক্যাশে বসে থাকা তানিকের মাথায় আঘাত পেলে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) পাঠানো হয়। এসময় ক্যান্টিনে খাবার সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।

পরে হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। পরে ক্যান্টিনে অপ্রত্যাশিত কাজ করার জন্য নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান অভিযুক্ত প্রান্ত।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তানিম বলেন, আমি ক্যাশে বসে ছিলাম। প্রান্ত ভাই ক্যান্টিনের খাবার নিয়ে ক্যান্টিনের পাশে দোকানের সামনে খাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে এসেই খাবারের বাটি ছুঁড়ে মারেন। এতে আমার মাথা ফেটে রক্ত বের হওয়া শুরু করে।

ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করেননি দাবি করে প্রান্ত বলেন, খাবারে মাছি দেখে আমি খাবার ছুঁড়ে মেরেছি। তবে আমি তার মাথায় আঘাত করার উদ্দেশে বাটি ছুঁড়ে দেইনি। এমন হবে আমি বুঝতে পারিনি। পরে আমি তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।

এ বিষয়ে হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা বলেন, প্রান্ত যে কাজটি করেছে সেটি অন্যায় করেছে। আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাটি মিটিয়ে দিয়েছি। তানিকের চিকিৎসার খরচ আমরা হল শাখা ছাত্রলীগ থেকে দিয়ে দেব। এছাড়াও প্রান্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সার্বিক বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এইচআর/এফকে