ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের উদ্যোগে ‘ল্যান্ডস্লাইড ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যাপ্রোচেস ইন বাংলাদেশ : স্পেশাল অ্যাটেনশন অন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প’ শীর্ষক এক জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন।

কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলাম এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের সহযোগী অধ্যাপক ড. বায়েস আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, স্বাধীনতার পরই দেশে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে আগাম বার্তা প্রদান এবং ঝুঁকিপ্রবণ এলাকার মানুষদের নিরাপত্তা প্রদানে বঙ্গবন্ধু নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দুর্যোগ মোকাবিলা ব্যবস্থাপনায় অসাধারণ উন্নয়ন করে চলছে।

তিনি বলেন, আমরা যেখানে সেখানে বসতি স্থাপনের অনুমতি দিতে চাই না। পাহাড় পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করছে। এটা স্পর্শ করলে বিপর্যয় আসবে স্বাভাবিক। যেসব পাহাড় অক্ষত আছে, সেখানে কিন্তু বিপর্যয় হচ্ছে না। যেখানে পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি বানানো হচ্ছে সেখানে ল্যান্ডস্লাইড হচ্ছে। ল্যান্ডস্লাইডকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের পলিসি তৈরি করব। এই কর্মশালা থেকে যে পরামর্শগুলো এসেছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আলোচনা করব।

দেশের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে ভূমিধসসহ বিভিন্ন দুর্যোগ প্রশমনে সমন্বিতভাবে যথাযথ গবেষণা পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, এই কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে এবং এতে উপস্থাপিত বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল দুর্যোগ প্রশমনের ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারণে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দুর্যোগের কারণগুলো চিহ্নিত, জনসচেতনতা তৈরি এবং দুর্যোগ প্রশমনে সময়মতো পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

কর্মশালায় ছয়টি গবেষণা প্রবন্ধের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এতে শিক্ষক, গবেষক, বিশেষজ্ঞ, শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।

এইচআর/এসএসএইচ/